তেলের বন্দর রাস ইশার পরে এ বার ইয়েমেনের রাজধানী সানার উপকণ্ঠে শুব জেলার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল আমেরিকা। শুক্রবার রাত থেকে কয়েক দফা হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং তার তিন গুণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রক হুথি বিদ্রোহী বাহিনী সূত্রের খবর।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকশিত খবর। সে ক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টিকম) তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হুথি বিদ্রোহীদের ডেরায় হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের হামলা এবং তার জবাবে গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি ইয়েমেন উপকূল থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লোহিত সাগরগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর। আমেরিকা ও ইউরোপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি ভারতীয় বাণিজ্যিক জাহাজও। পাশাপাশি, ইজ়রায়েল ভূখণ্ড নিশানা করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলেছে তারা।
এর জবাবে আমেরিকা এবং ইজ়রায়েল ড্রোন, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। পাশাপাশি, সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীর সরকার শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর পাশাপাশি লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার থেকেও হুথি বিদ্রোহীরা অর্থ এবং অস্ত্রসাহায্য পায় বলে অভিযোগ। গত শুক্রবার হুথি নিয়ন্ত্রিত তেলের বন্দর রাস ইশায় হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার যুদ্ধবিমান। ওই ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছিলেন।