বাংলাদেশে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করল আমেরিকার প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও বিক্ষোভ বা রাজনৈতিক জমায়েতকে আপাত ভাবে শান্তিপূর্ণ দেখালেও নিমেষে সেখান থেকে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশে ভিড়ের মধ্যে পকেটমারির উপদ্রবের বিষয়েও মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্য অপরাধের বিষয়ে সতর্ক করে ওই এলাকায় ভ্রমণ না-করার জন্য সতর্ক করেছে আমেরিকার বিদেশ দফতর।
গত বছরের জুলাই-অগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় এবং সে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। আমেরিকার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গত বছরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সে দেশে অস্থিরতা এবং অশান্তি অনেকটা কমে গিয়েছে। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিক্ষোভ চলছে এবং সেগুলি থেকে অশান্তি ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিক্ষোভগুলিতে নিমেষের মধ্যে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে এই ধরনের জমায়েতগুলি এড়িয়ে চলার জন্য। কারণ, শান্তিপূর্ণ জমায়েতগুলি যে কোনও সময়ে হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রশাসন।
বাংলাদেশে ঘুরতে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের পকেটমারির মতো ছোটখাটো অপরাধের বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতর। নির্দেশিকা বলা হয়েছে, জনবহুল এলাকায় পকেটমারি থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বড় শহরগুলিতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলি নিয়েও সতর্ক করেছে আমেরিকা। যদিও এ ক্ষেত্রে অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার কারণে বিদেশিদের নিশানা করার কোনও আভাস নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিষয়েও সতর্ক করেছে আমেরিকা। এই সব উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশে থাকা আমেরিকার সরকারি কর্মীদের কূটনৈতিক প্রভাব সমন্বিত এলাকা (ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভ)-র বাইরে ঢাকায় অহেতুক ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমোদন নিতে হবে তাঁদের। যদিও কক্সবাজার বা সিলেট যাওয়ার ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।