প্রতীকী ছবি।
ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার সকালেই রাশিয়ায় জরুরি অবতরণ করেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সান ফ্রান্সিসকোগামী একটি বিমান। এ বার ওই বিষয়ে মুখ খুলে পরিস্থিতির দিকে ‘নজর রাখা হচ্ছে’ বলে জানাল আমেরিকা।
আমেরিকার বিদেশ দফতরের সহকারী মুখপাত্র বেদান্ত পটেল তাঁর দৈনন্দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা জানি আমেরিকায় আসা একটি বিমান রাশিয়ায় জরুরি অবতরণ করেছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। যদিও আমি জানি না, ওই বিমানে আমেরিকার কত জন নাগরিক ছিলেন।”
তবে কোন কারণে আমেরিকা এই ঘটনায় নজরদারি করার কথা বলছে, তা বেদান্তের কথায় স্পষ্ট নয়। তবে অনেকে মনে করছেন, সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা এবং ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রায় খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি অবতরণ করায় দেশের নাগরিকদের ‘নিরাপত্তা’র বিষয়টিকে আমেরিকা গুরুত্ব দিতে চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিকল্প বিমানে সব যাত্রীকেই তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থা। বুধবার এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে বিকল্প একটি বিমান গিয়ে রাশিয়ায় আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে আমেরিকার উদ্দেশে উড়ে যাবে।
এয়ার ইন্ডিয়া যাত্রীদের জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করেছে, সে কথা উল্লেখ করে বেদান্ত বলেন, “এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃতি দেখে আমি যা বুঝতে পেরেছি, একটি বিকল্প বিমানে যাত্রীদের সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছে দেওয়া হবে।” সোমবার সকালে দিল্লি থেকে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বিমানটি। কিন্তু মাঝ আকাশেই বিমানের ‘ফ্লাইট ইঞ্জিনে’ গোলমাল ধরা পড়ে বলে বলে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানান। বিপদ বুঝেই নিকটস্থ বিমানবন্দর পূর্ব রাশিয়ার মাগাদনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বার্তা পাঠান পাইলট। মাগাদনে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে সবুজ সঙ্কেত পেতেই তড়িঘড়ি বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয় সেখানে।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, সান ফ্রান্সিসকোগামী ওই বিমান এআই১৭৩-তে ২১৬ জন যাত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গে পাইলট, কো-পাইলট, বিমানকর্মী মিলে আরও ১৬ জন ছিলেন। তাঁরা সকলেই সুস্থ এবং নিরাপদ রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy