আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকায় ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। দেড় মাসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। এই পরিস্থিতিতে দেশে ভারতীয়দের উপর হামলা প্রসঙ্গে মুখ খুলল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফে এই ধরনের হামলার নিন্দা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের আধিকারিক জন কিরবি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কোনও হিংসাকেই আমেরিকা সমর্থন করে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে কিরবিকে ভারতীয়দের উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি উত্তরে বলেন, ‘‘হিংসার কোনও অজুহাত হয় না। জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনও হিংসা সমর্থনযোগ্য নয়। আমেরিকায় এ সব বরদাস্ত করা হবে না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের হামলা বন্ধ করার জন্য আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট চেষ্টা করছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’’
চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে অন্তত ছ’জন ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই উঠেছে খুনের অভিযোগ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আত্মহত্যার নেপথ্যেও ইন্ধনের সন্দেহ করছেন অনেকে। আমেরিকায় ভারতীয়েরা বর্ণবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি।
গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ভারতের বিবেক সাইনি, নীল আচার্য, শ্রেয়স রেড্ডি বেনিগেরি, অকূল ধওয়ান বিবেক চান্দের তানেজাদের। বিবেক সাইনিকে এক ভবঘুরে কুপিয়ে খুন করেন। নীল, অকূল শ্রেয়সদের দেহ উদ্ধার হয় রহস্যজনক ভাবে। অভিযোগ, তাঁদের কেউ বা কারা খুন করে দেহ ফেলে রেখে গিয়েছেন। বিবেক চান্দের ভার্জিনিয়ার একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ওয়াশিংটনে একটি রেস্তরাঁয় বচসার জেরে তাঁকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, চলতি মাসেই ক্যালিফর্নিয়ায় আত্মহত্যা করেছে কেরলের এক পরিবার। যমজ সন্তানকে খুন করে দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের চার জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ফ্ল্যাট থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy