ইউক্রেনকে নেটোর সদস্যপদ দেওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি খারিজ করে দিল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে ইউক্রেনকে শামিল করার সম্ভাবনা পুরোপুরি অবাস্তব।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকার নেটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন জানাতে সক্রিয় হওয়ার পরেই ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কিভের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল মস্কো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তির আগে ট্রাম্প সরকারের এই ঘোষণা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিশ্চিত ভাবেই স্বস্তি দেবে।
আরও পড়ুন:
গত বছর আমেরিকায় নির্বাচনের প্রচারপর্বে ফিলাডেলফিয়ায় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে (মুখোমুখি বিতর্কে) ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।’’ নভেম্বরে ভোটে জেতার পরে যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন প্রবীণ রিপাবলিকান নেতা। ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ব্যক্তিগত সমীকরণ ‘মসৃণ’।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে নেটোয় ইউক্রেনের সদস্যপ্রাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে পেন্টাগনের অবস্থান যুদ্ধের ইতি টানতে অনুঘটকের ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে পুতিন সেনার হামলা শুরুর পরে রাশিয়ার পড়শি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নেটোর সদস্যপদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনকে শুধুমাত্র অস্ত্রসাহায্য দিয়েই দায় সেরেছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। বিরক্ত জ়েলেনস্কি গত বছর কয়েক আগে জানিয়েছিলেন, রাশিয়া হামলা বন্ধ করলে তাঁরা আর নেটোর সদস্যপদের জন্য তৎপর হবেন না। সেই পথই কি প্রশস্ত করছেন ট্রাম্প?