Advertisement
E-Paper

সন্ত্রাস নিয়ে চাপ দিতে ইসলামাবাদে ম্যাটিস

পেন্টাগনের দায়িত্ব নেওয়ার পরে আজ প্রথম পাকিস্তানে এলেন প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিস। সম্প্রতি জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের মুক্তির পরে সন্ত্রাস নিয়ে বার বার পাকিস্তানকে বিঁধেছে আমেরিকা

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩

এক দিকে প্রতিরক্ষাসচিব জানালেন, তিনি পাকিস্তানিদের কথা ‘শুনতে’ চান। অন্য দিকে গুপ্তচর সংস্থার প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না ওয়াশিংটন। এ ভাবে একই সঙ্গে সুর নরম ও গরম করে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়াতে চাইল ওয়াশিংটন।

পেন্টাগনের দায়িত্ব নেওয়ার পরে আজ প্রথম পাকিস্তানে এলেন প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিস। সম্প্রতি জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের মুক্তির পরে সন্ত্রাস নিয়ে বার বার পাকিস্তানকে বিঁধেছে আমেরিকা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ যথেষ্ট পদক্ষেপ করেনি বলে সাফ জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। পাকিস্তান সফরের আগে অবশ্য কিছুটা নরম সুরে কথা বলেছেন প্রতিরক্ষাসচিব ম্যাটিস। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি আগে পাকিস্তানি নেতৃত্বের বক্তব্য শুনব। জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে পাকিস্তানেরও হাজার হাজার সেনার প্রাণ গিয়েছে। ফলে সন্ত্রাস দমনে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সমান স্বার্থ আছে।’’

ম্যাটিস জানিয়েছেন, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের নির্মূল করার আশ্বাস দিয়েছেন সে দেশের সেনাপ্রধান কমর বাজওয়া। ফলে আলোচনার মাধ্যমে দু’দেশের সহযোগিতার পথ অনেকটাই খুলে যেতে পারে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ম্যাটিসের সফরের ঠিক আগেই পাকিস্তান নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও। ক্যালিফোর্নিয়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানিরা সে দেশে জঙ্গিদের ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করলে ভাল। না হলে আমরা সেগুলি ধ্বংস করার সব রকম চেষ্টা করব।’’ ২০০৪ সাল থেকে পাকিস্তানে জঙ্গিদের নিশানা করে বার বার ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। পাকিস্তানকে কিছু না জানিয়ে অ্যাবটাবাদে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খতম করেন মার্কিন নেভি সিল কম্যান্ডোরা। প্রয়োজনে পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনী ফের এই ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে মত কূটনীতিকদের।

কূটনীতিকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, হাফিজের মুক্তির পরে পাক-মার্কিন সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে চলা আমেরিকার পক্ষে কঠিন। তাই ইসলামাবাদে যাওয়ার আগে সুর কিছুটা নরম করলেন ম্যাটিস। পাশাপাশি সিআইএ প্রধান সুর চড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে অন্য পথ নিতে দ্বিধা করবে না ওয়াশিংটন।

Defense Secretary Jim Mattis US Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy