পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরেই ‘বিদেশি চক্রান্তের’ অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান খান। রবিবার সেই ‘নেপথ্য-চক্রী’র নামও প্রকাশ্যে এনেছেন বিদায়ী পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমেরিকার কূটনীতিক ডোনাল্ড লু। আমেরিকার বিদেশ দফতরের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি (সহ-সচিব)।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন জানিয়েছে, আমেরিকায় নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার আসাদ মজিদের কাছে অনাস্থা ভোটের আগে ইমরানের নাম করে কার্যত হুমকি দিয়েছেন লু। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অনাস্থা ভোটের পরেও সরকার টিকে যায়, তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পরিণতি খারাপ হবে।’’ ওই সংবাদমাধ্যমের কাছে ইমরান অভিযোগ করেছেন, লুয়ের ‘তৎপরতার’ কারণেই বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে।
আমেরিকার বিদেশ দফতরের ১৯৯০ ব্যাচের অফিসার লু ১৯৯২-৯৪ পাকিস্তানের পেশোয়ারে আমেরিকার ডেপুটি হাই কমিশনে রাজনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ নয়াদিল্লিতে আমেরিকার হাই কমিশনায় ফ্রাঙ্ক ওয়াজনারের রাজনৈতির পরামর্শদাতা পদেও কাজ করেছেন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে আমেরিকার বিদেশ দফতরের অন্দরে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিশেষ অধিবেশন শুরুর পরেই পাক সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত’। তা নিয়ে আলোচনা বা ভোটাভুটি কোনওটাই হবে না। এর পর ইমরানের প্রস্তাব মেনে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন। ডেপুটি স্পিকারের ওই সিদ্ধান্ত পাক সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। যদিও ‘বিদেশি চক্রান্তের’ অভিযোগ অনড় রয়েছেন ইমরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy