Advertisement
E-Paper

ভারতকে ফের ডাক পেন্টাগনের

মার্কিন চোখরাঙানি অগ্রাহ্য করেই গত অক্টোবরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার চুক্তিতে সই করেছিল ভারত। বায়ুসেনা জানিয়েছিল, এটা ‘গেমচেঞ্জার’।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৬
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

মার্কিন চোখরাঙানি অগ্রাহ্য করেই গত অক্টোবরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার চুক্তিতে সই করেছিল ভারত। বায়ুসেনা জানিয়েছিল, এটা ‘গেমচেঞ্জার’। এমন ব্যবস্থা ভারতের হাতে এলে উপমহাদেশের খেলাটাই ঘুরে যাবে। কিন্তু আমেরিকা চটবে না তো— প্রশ্ন উঠেছিল। আজ পেন্টাগনের পেশ করা ‘মিসাইল ডিফেন্স ২০১৯’ রিপোর্টে যেন তারই একটা ইঙ্গিত এল। তবে প্রকাশ্যে নয়, ঘুরিয়ে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের প্রধান প্রতিরক্ষা সহযোগী দেশ ভারতের সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ আলোচনাই হয়েছে। পেন্টাগনের দাবি, সম্প্রতি যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে চিন ও রাশিয়া ব্যাপক উন্নতি করেছে। এই প্রেক্ষিতে ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ডাকও দিয়েছে তারা।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে নয়াদিল্লির ভূমিকাকে আরও এক বার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করে পেন্টাগন জানিয়েছে, এমন আলোচনা চলবে। এবং ভবিষ্যতে এতে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশও যে তাদের মতো করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, সে কথা তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে পেন্টাগন।

প্রতিরক্ষা তো বটেই, ভারত এখন মহাকাশে অসমারিক কাজে ব্যবহারের উপযোগী সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রসদ আমেরিকার থেকে কিনতে পারে। এই সুবিধা দিতে গত বছরেই নয়াদিল্লিকে ‘স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন-১’-এর মর্যাদা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে ভারতই প্রথম সেই লাইসেন্স পেয়েছে। চিন, এমনকি ইজ়রায়েলের কাছেও এই লাইসেন্স নেই। এই মর্যাদা পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে এক তালিকায় ঢুকে পড়ে ভারত। সেই কারণেও নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষা আলোচনা এত বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রিপোর্টে ভারতের পাশাপাশি চিন এবং রাশিয়াকে নিয়েও কিছু কথা বলা হয়েছে। মস্কো এবং বেজিং যে ভাবে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়ে চলেছে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া যে ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, রিপোর্টে তারও প্রশংসা করেছে পেন্টাগন।

Pentagon Strategic Missile Defence Cooperation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy