গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আর হামাসের সঙ্গে আলোচনায় যেতে চায় না ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা। ইজ়রায়েল সরকার আগেই তাদের আলোচনাকারী দলকে গাজ়া থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রশাসনও জানিয়ে দিল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও আর যুদ্ধবিরতি আলোচনায় থাকছেন না!
বৃহস্পতিবার স্টিভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গাজ়ায় হামাসের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছনোর ইচ্ছার অভাব রয়েছে! তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন পণবন্দিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বিবেচনা করব। শুধু তা-ই নয়, গাজ়াবাসীর জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টাও করব আমরা।’’ তবে কোন বিকল্প পথে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে আমেরিকা, তা স্পষ্ট করেননি স্টিভ।
ইজ়রায়েল প্রশাসনও তাদের আলোচনাকারী দলকে গাজ়া থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে তারা এখনও আশাবাদী, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এখনও সম্ভব। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের এক সূত্রে দাবি, পরবর্তী কালে কোন পথে আলোচনা সম্ভব, তা নির্ধারণ করতেই প্রতিনিধি দলকে ইজ়রায়েলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে হামাস তাদের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা জানায়, ইজ়রায়েলের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজি। তবে তাদেরও কিছু শর্ত রয়েছে। প্রধানত, সীমান্তে ইজ়রায়েলি সেনার আধিপত্য কমাতে হবে এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইজ়রায়েল কত জন বন্দিকে মুক্তি দেবে, তা স্পষ্ট করতে হবে! হামাসের এই প্রতিক্রিয়ার পরই একে একে ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা তাদের আলোচনাকারী দল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। কূটনৈতিক মহলের মতে, ইজ়রায়েল এবং আমেরিকার আলোচনাকারী দল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কৌশলগত কোনও পদক্ষেপ হতে পারে।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি, ওয়াশিংটন সফরের সময় ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের ইচ্ছা আছে কি না, তা নিয়ে তাঁর সন্দেহ রয়েছে। উল্লেখ্য, যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু বার বার গাজ়ায় শাসন করার দাবি জানিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি চেয়েছেন, হামাস আত্মসমর্পণ করুক! যদিও তা কখনই মানতে চায়নি প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।