বন্যায় বেহাল পাকিস্তান। ছবি: রয়টার্স।
রেকর্ড বৃষ্টির কারণে শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যার কবলে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই ডুবে গিয়েছে সে দেশের এক-তৃতীয়াংশ জনপদ। পাক ‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ শনিবার জানিয়েছে, রেকর্ড বর্ষার কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মারা পড়েছে কয়েক হাজার গবাদি পশু। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষাধিক বাড়ি। বেশ কিছু সেতুও ভেঙেছে।
অধিকাংশ কৃষিজমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় ক্রমশ পাকিস্তান জুড়ে বাড়ছে খাদ্যসঙ্কট। পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল ভারত থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির ইঙ্গিত দিলেও এখনও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে বসতে চলেছে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশনের (এসসিও) শীর্ষ বৈঠক। সেই মঞ্চে মোদীর পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন শাহবাজও। তবে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলাদা করে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেই বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর।
কেন্দ্রের একটি সূত্র বলছে, বন্যাদুর্গত ইসলামাবাদকে সমবেদনা জানালেও নয়াদিল্লি আগ বাড়িয়ে খাদ্য বা অন্য সহায়তা পাঠাবে না। কারণ, পাকিস্তানকে সহায়তা পাঠানোর পর সে দেশ থেকে ভারতে বড় মাপের জঙ্গি অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটলে তা ঘরোয়া রাজনীতিতে মোদী সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ভোট-রাজনীতিতে চাপে পড়বে বিজেপি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
তবে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানের সহায়তার জন্য ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে আমেরিকা। বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আমেরিকা সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের একটি দল ইসলামাবাদে পৌঁছেছে বলে সেনা মুখপাত্র কর্নেল জো বুচিনো জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল এরিক কুরিল্লা এবং পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার টেলিফোনে কথা হয়েছে। বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলিতে দ্রুত খাদ্য এবং অন্য সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy