সামরিক জোটসঙ্গী হিসেবে পেন্টাগনের কাছে ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে। নয়াদিল্লিকে এই বার্তা দিতেই ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় কম্যান্ড’-এর নাম বদলে ‘ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কম্যান্ড’ রাখল আমেরিকা। বৃহত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে এই কম্যান্ড। সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি সামরিক ও অসামরিক কর্মী যার অন্তর্গত। এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার মধ্যে রয়েছে ভারতও। ২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওয়াশিংটন সফরের সময় ট্রাম্প-মোদী যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। তখন ‘ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়’ শব্দবন্ধটি চর্চায় আসে।
সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস বুধবার বলেছেন, ‘‘ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমাদের সহযোগী ও মিত্র দেশগুলির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। যে কারণে মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কম্যান্ডের নাম বদল করে এ বার ‘ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়’ কম্যান্ড রাখা হল।’’
কূটনীতিকেরা মনে করছেন, আমেরিকার কাছে ভারতের সামরিক গুরুত্ব যে বাড়ছে দিল্লিকে সেই বার্তা দিয়ে আরও কাছে টানতেই এই পদক্ষেপ। এই পরিবর্তনটি নজর এড়ায়নি বেজিংয়ের। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রেন গুয়োকিয়াং জানান, সম্পর্কের এই অগ্রগতিতে নজর রাখবেন তাঁরা। ২০১৬-এ ভারত ও আমেরিকা পরস্পরের ভূমি, আকাশ ও সেনা ঘাঁটি ব্যবহারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চিনের সামরিক আস্ফালন রুখতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এই চুক্তি। যার পর থেকে পেন্টাগনের কাছে ভারতীয় সেনার প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়েছে। ভারতের সামরিক বাজারটি ধরতেও আগ্রহী আমেরিকা। ভারতকে অস্ত্রের জোগান দেওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি। গত এক দশকে ভারতের সঙ্গে ১৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি করেছে পেন্টাগন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy