সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গত মাসেই। সায় দিয়েছিলেন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়া সুন্নি জিহাদিদের নতুন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বার সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সরকারি নির্দেশনামায় সই করলেন।
মে মালে সৌদি আরবের রিয়াডে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আহমেদ আল-শারা। সেখানেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। সেই প্রতিশ্রুতি মেনেই মঙ্গলবার মার্কিন অর্থ দফতর জানিয়ে দিল সিরিয়ার উন্নয়ন, সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা ও দেশের সামাজিক কাঠামো পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর রাজধানী দামাস্কাস দখল এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। আসাদ সপরিবার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়। সেই গৃহযুদ্ধপর্বে এইচটিএস বাহিনীকে ধারাবাহিক মদত দিয়েছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগানের সরকার।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পরেই প্রাক্তন আল কায়দা নেতা তথা সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শরা কুর্দ এবং ক্ষমতা দখলকারীদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’-এর কমান্ডার মাজ়লুম আবদির সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেছিল তুরস্ক। তাতে বিদেশি জিহাদিদের নবগঠিত সিরিয়া সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গ ছিল। গৃহযুদ্ধ পর্বে সুন্নি সশস্ত্র বাহিনী এইচটিএস-এর হয়ে প্রায় চার হাজার বিদেশি জিহাদি লড়াই করেছিলেন রাশিয়া ও ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া নেতা আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই জিহাদিদের সিরিয়া সেনায় অন্তর্ভুক্তিতেও সায় দেন ট্রাম্প। যদিও এর ফলে সিরিয়ায় সংখ্যালঘু শিয়া এবং দ্রুজদের উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।