পশ্চিম এশিয়া সফরের শেষ পর্বে আবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতার দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারের একটি সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বললেন, ‘‘গত সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা সমাধানে আমরা নিশ্চিত ভাবেই সাহায্য করেছি। ক্রমবর্ধমান সংঘাতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।’’
এক ধাপ এগিয়ে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতেও মধ্যস্থতার বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেন, ‘‘তারা প্রায় এক হাজার বছর ধরে ন্যায়সঙ্গত ভাবে লড়াই করে আসছে। আমি বলেছিলাম, ‘আমি এটার মীমাংসা করতে পারি। আমি যে কোনও কিছুর মীমাংসা করতে পারি। আমাকে এটার মীমাংসা করতে দাও। আমি বলেছিলাম, এবং আমরা সেটার মীমাংসা করে ফেললাম।’’’
২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জবাবে গত ৬ মে রাতে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ঘটনাচক্রে, চার দিনের ধারাবাহিক সংঘাতপর্বের পরে গত ৯ মে বিকেলে সমাজমাধ্যমে প্রথম সংঘর্ষবিরতিতে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ ঐকমত্যের ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্পই। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভারত এবং পাকিস্তান পৃথক ভাবে বিবৃতি দিয়ে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করেছিল।
এর পরে গত ১২ মে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি দুই দেশকেই চাপ দিয়েছিলেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য। অন্যথায় ব্যবসার উপর প্রভাব পড়বে বলেও দুই দেশকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “আমরা বলেছিলাম, এটা বন্ধ করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করতে পারি। আপনারা এটা বন্ধ করলে আমরা বাণিজ্য করতে পারি। কিন্তু যদি আপনারা এটা বন্ধ না-করেন, আমরা (আপনাদের সঙ্গে) কোনও বাণিজ্য করব না।”
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল, তৃতীয় কোনও পক্ষ সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতা করেনি। ট্রাম্পের পশ্চিম এশিয়া সফরের মধ্যেই বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র টমি পিগট ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যুদ্ধবিরতি দেখে আমরা খুশি। উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হোক, আমরা সেটাই চাই, আমরা তার জন্য উৎসাহ দেব। আমাদের প্রেসিডেন্ট শান্তির দূত। আমরা শান্তি উদ্যাপন করছি। আশা করি, এই সংঘর্ষবিরতি স্থায়ী হবে।’’