সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশ্নে পাকিস্তানের চূড়ান্ত দ্বিচারিতা নিয়ে এ বার মুখ খুলল আমেরিকা। বার্ষিক রিপোর্টে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে বেনজির বিষোদ্গার করে ওয়াশিংটনের মন্তব্য, যে সব জঙ্গি সংগঠন পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে অন্যান্য দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তাদের অবাধে কাজ করতে দিচ্ছে পাক প্রশাসন। ভারতবিরোধী শক্তিগুলিকে পাকিস্তান যে সাহায্য করছে, তাও কোনও রাখঢাক না রেখেই বলেছে আমেরিকা।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান লড়বে বলে আমেরিকাকে তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বহু দিন ধরেই। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি যে শুধু মৌখিক, তা আমেরিকা ভালই বুঝতে পারছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। ঠিক সেই কারণেই পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে কোনও সাহায্য আমেরিকা করেনি। বৈদেশিক সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে পাকিস্তানকে যে বিপুল অর্থসাহায্য দেওয়ার কথা ছিল, তা সম্প্রতি আটকে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। ফলে এফ-১৬ কিনতে পারেনি পাকিস্তান। এ বার আরও জোরালো ধাক্কা। পাকিস্তানকে প্রায় সরাসরিই দ্বিচারিতা দায়ে অভিযুক্ত করে দিল বারাক ওবামার প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
আমেরিকাকে চাপে ফেলে স্টেল্থ ফাইটার তৈরি করে ফেলল চিন
‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম- ২০১৫’ নামের রিপোর্টে মার্কিন প্রশাসন লিখেছে, তেহরিক ই-তালিবানের মতো যে সব জঙ্গি সংগঠন পাকিস্তানের মধ্যেই নাশকতা চালাচ্ছিল, তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত এবং আফগান তালিবান বা হাক্কানির মতো সংগঠনকে পাকিস্তান আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতে এবং আফগানিস্তানে সন্ত্রাস চালায় এই জঙ্গিরা। রাষ্ট্রপুঞ্জও এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু পাকিস্তানে তারা অবাধে নতুন লোক নিয়োগ করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং অর্থসংগ্রহ করছে।
পাকিস্তান সম্পর্কে এমন কড়া রিপোর্ট দিলেও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেট ভারতে যেটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে, সেটুকুকেও সমূলে শেষ করতে ভারত সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা প্রশংসনীয় বলে মার্কিন রিপোর্টে লেখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy