Advertisement
E-Paper

নিষেধাজ্ঞা ইরানের উপরে, ছাড় ভারত-সহ আট-কে

আটটি দেশ সাময়িক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেয়েছে। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো জানান, ভারত, চিন, তুরস্ক, জাপান, ইটালি, গ্রিস, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানকে ইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আগামী মার্চ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৯

আগেভাগে ঘোষণা করা ছিলই। সেই মতো আজ থেকে ইরানের তেল, আর্থিক আর ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের উপরে কড়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করল মার্কিন প্রশাসন। সেই সঙ্গে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৬০০ জন ইরানি নাগরিককে। আটটি দেশ সাময়িক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেয়েছে। আজ মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো জানান, ভারত, চিন, তুরস্ক, জাপান, ইটালি, গ্রিস, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানকে ইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আগামী মার্চ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে, ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে করা চুক্তি মে মাসে বাতিল করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, এই চুক্তি একপেশে। এই চুক্তির আড়ালে ব্যালিস্টিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে সাইবার হানা ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে মদত দিয়ে যাচ্ছে তেহরান। ট্রাম্পের যাবতীয় যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য বলছে, এই চুক্তির ফলে ইরানের পরমাণু নীতির উপর কড়া নজরদারি রাখা সম্ভব হয়েছিল। ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে সরে আসায় ইরানের পরমাণু নীতি নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ল।

ইরান থেকে তেল আমদানি করা নিয়ে বিশ্বের সব দেশকে সতর্ক করেছিল আমেরিকা। তাদের দাবি ছিল, তেহরানের কাছ থেকে তেল কেনার পরিমাণ যে দেশের যা-ই থাকুক না কেন, তা অবিলম্বে শূন্যে নামাতে হবে। না হলে ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকেও নিষেধাজ্ঞার বোঝা বইতে হবে। আজ যে আটটি দেশকে সাময়িক ভাবে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পম্পেয়ো, তাদের মধ্যে নিজেদের অবস্থানে অনড় চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ইরান থেকে চিনের তেল কেনা কেউ আটকাতে পারবে না। তারা যা করার আইন মেনেই করছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপান ইতিমধ্যেই ইরান থেকে তেল নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একই পথে হাঁটছে ইউরোপের দেশগুলিও। তবে কিছু ইউরোপীয় সংস্থা এখনও ইরানে তাদের কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইজ়রায়েল।

ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে ইরানের অর্থনীতি। মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার সে দেশের মানুষ। হু হু করে পড়ছে ইরানি মুদ্রা রিয়ালের দাম। একে একে দেশ ছাড়ছে বহু বহুজাতিক সংস্থা। কাল ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন ইরানের সাধারণ মানুষ। মিছিলের স্লোগান ছিল, ‘আমেরিকার মৃত্যু’। সেখানে পোড়ানো হয়েছে ট্রাম্পের ছবি, মার্কিন পতাকা। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খোমেনেই-ও। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্পের পতনের এই সবে শুরু।’’

Iran Restriction USA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy