ঢাকার ‘মিরপুরের কসাই’ নামে পরিচিত রাজাকার শিরোমণি কাদের মোল্লার ফাঁসির বদলে কারাদণ্ড হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। একটাই স্লোগান ছিল— ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই!’ আপিল আদালত সেই রায় বদলে ফাঁসির রায় দেওয়ার পরে ২০১৩-র ১২ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়। সেই কাদের মোল্লাকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার জামাতে ইসলামির মুখপত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’-এর প্রথম পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। শুক্রবার সারাদিন তা নিয়ে বিক্ষোভের পরে রাতে পত্রিকাটির দফতর ঘেরাও করেন এক দল মানুষ। এই কর্মসূচির মধ্যেই আওয়ামি লিগ ও বামপন্থী দলগুলির কর্মীরা পত্রিকাটির দফতরে ঢুকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। অন্য কর্মীরা পালিয়ে গেলেও সম্পাদক আবুল আসাদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার পুলিশ জামাতের মুখপত্র ও তার সম্পাদক আসাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। আসাদকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে, জামাতে ইসলামি ও তাদের শাখা ছাত্র শিবিরের দফতর হিসেবে কাজ চালাচ্ছে এই পত্রিকা অফিস। অবিলম্বে তাদের নিবন্ধীকরণ বাতিলের জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।