দু’দিনের সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তিনি। মিলেছে উপহারও। ট্রাম্প তাঁকে নিজের লেখা একটি বই উপহার দিয়েছেন। সেই বইয়ের প্রথম পাতায় লিখে দিয়েছেন মোদীর উদ্দেশে তাঁর বার্তাও। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, আপনি মহান।’’ নীচে নিজের নামও লিখে দিয়েছেন। তবে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই তিনি আমেরিকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমেরিকার পণ্যে যে সমস্ত দেশ কর নেয়, তার প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারত। ফলে ভারতের উপরেও আগামী দিনে পাল্টা কর চাপানো হতে পারে, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেই মত বদলায় কি না, তা সময় বলবে।
আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের লেখা বইটির নাম ‘আওয়ার জার্নি টুগেদার’। ট্রাম্প প্রথম বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার ছবি সংকলিত রয়েছে এই বইতে। মোদীর সঙ্গে একাধিক সাক্ষাতের ছবিও রয়েছে। সস্ত্রীক ট্রাম্প ভারতে এসে ছবি তুলেছিলেন তাজমহলের সামনে। মোদীকে দেওয়া বইটিতে রয়েছে সেই ছবিও। বইটির সামনের লাল পৃষ্ঠায় কালো কালি দিয়ে ট্রাম্প ওই লাইন লিখে দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদীকে বই উপহার দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: পিটিআই।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প। শুরুতেই উষ্ণ আলিঙ্গনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অভ্যর্থনা জানান। তাঁদের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। বাণিজ্যচুক্তি থেকে শুরু করে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রীকে ভারতে ফেরত পাঠানো— ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে দুই প্রধানের মধ্যে।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ট্রাম্পকে শুল্ক আরোপের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আগেই ট্রাম্প জানান, শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে তিনি ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি নিতে চান। অর্থাৎ, যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যত শুল্ক চাপাবে, সেই দেশের পণ্যেও আমেরিকা তত শুল্ক চাপাবে। ভারত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছিলেন, এই তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে ভারত। কারণ, আমেরিকার পণ্যে ভারত বড্ড বেশি কর নিয়ে থাকে। পরে মোদীর সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আপস-আলোচনায় মোদী তাঁর থেকেও পটু। ফলে ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব বাণিজ্যচুক্তি’ হয়েছে। ভারতের পণ্যে শুল্ক আরোপের বিষয়টিও আমেরিকা বিবেচনা করে দেখবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট।