Advertisement
E-Paper

পেন্টাগনের ছাড়পত্রের পর ইউক্রেনের হাতে শক্তিশালী টমাহক তুলেই দিচ্ছেন? জবাব দিলেন ট্রাম্প নিজে

জ়েলেনস্কির অনুরোধ রেখে টমাহক কি ইউক্রেনকে দেওয়ার কথা ভাবছেন? এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ট্রাম্প। জিইয়ে রেখেছেন জল্পনাও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০২
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। ছবি: পিটিআই।

পেন্টাগন ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মতি না-দিলে শক্তিশালী টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাবে না ইউক্রেন। ট্রাম্প এর আগেও একাধিক বার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির এই সংক্রান্ত ‘আব্দার’ নাকচ করে দিয়েছেন। পেন্টাগনের ছাড়পত্রের পর যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, রবিবার তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, আপাতত ইউক্রেনকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

জ়েলেনস্কির অনুরোধ রেখে টমাহক কি ইউক্রেনকে দেওয়ার কথা ভাবছেন? এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘‘না। একেবারেই নয়।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে এর পর তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে যুদ্ধ করতে দিতে হয়। পুতিনের জন্যেও, ইউক্রেনের জন্যেও এটা খুব কঠিন যুদ্ধ।’’ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের এ বার যুদ্ধ থামানোর সময় এসেছে বলেও মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

টমাহক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ২৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁত নিশানা করতে পারে এই অস্ত্র। আমেরিকার কাছ থেকে তা কিনতে চেয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজের অবস্থান থেকে সরতে পারেন, আশা প্রকাশ করেছেন জ়েলেনস্কি। গত ১৭ অক্টোবর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দিতে তিনি চান না। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে এ সম্পর্কে বিবেচনা করে দেখতে পারেন।

ট্রাম্পের এই ‘না’-এর মাঝে সম্প্রতি পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র পেলে আমেরিকার কোনও সমস্যা হবে না। তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়াই যায়। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্পই। টমাহক ইউক্রেনকে দিতে গেলে ট্রাম্পের স্বাক্ষর প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে টমাহক নিয়ে বিবৃতি এসেছে রাশিয়া থেকেও। তারা জানিয়েছে, টমাহক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়াটা আদৌ কোনও সমাধান নয়। এ ভাবে যুদ্ধ থামানো যাবে না। পুতিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনীর সশস্ত্র উপস্থিতি ছাড়া ইউক্রেন একা টমাহক ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। যদি তা করা হয়, তবে উত্তেজনা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। যদিও টমাহককে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দাবি পুতিনের।

উল্লেখ্য, ২০ ফুট উচ্চতার টমাহক আমেরিকার নৌবাহিনী জাহাজ বা ডুবোজাহাজ থেকে প্রয়োগ করে থাকে। ইউক্রেনের কাছে এক সক্ষম নৌবাহিনী নেই।

Russia Ukraine Conflict putin Donald Trump Tomahawk Missile Volodymyr Zelenskyy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy