প্রতীকী ছবি।
দু’টি ভিন্ন টিকার ডোজ দেওয়া হলে শরীরে কেমন প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গবেষণা চলছে। সাম্প্রতিক কালে সে রকমই একটি গবেষণায় প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুই টিকার সংমিশ্রণে তেমন গুরুতর কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না শরীরে। সামান্য ক্লান্তি অনুভূত হচ্ছে, আর তার সঙ্গে কিছু দিন মাথার যন্ত্রণা থাকছে শুধু। তবে ওই মিশ্রণ ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম কি না, সে ব্যাপারে কোনও প্রামাণ্য তথ্য সামনে আসেনি এখনও।
সম্প্রতি বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ল্যানসেট’-এ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যাঁরা প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এবং চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজে ফাইজারের তৈরি টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে খুবই অল্প দিনের জন্য কিছু হালকা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে এই রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই গবেষকরা বলছেন, এতে নিম্ন এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে টিকার ঘাটতি কিছুটা মেটানো সম্ভব। যদি কোনও দেশ সফলভাবে এই প্রক্রিয়ায় টিকাকরণ চালাতে সক্ষম হয়, সে ক্ষেত্রে বাকিরাও সেই পথে এগোতে পারবে। এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সেও বহু লোককে প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং দ্বিতীয় ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছিল।
অক্সফোর্ডের টিকা-বিশেষজ্ঞ ম্যাথু স্নেপ বলেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি এমন রিপোর্ট আসবে। তবে আমরা জানি না, টিকার সংমিশ্রণ আদৌ রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম কি না। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাও জেনে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy