Advertisement
০২ মে ২০২৪
WHO

কোভিডে ধ্বস্ত ভারত, বিপাকে কোভ্যাক্স প্রকল্প

কোভিড-বিশেষজ্ঞেরা গোড়া থেকেই সতর্ক করে আসছেন, গোটা বিশ্বে একযোগে দ্রুত টিকাকরণ একমাত্র নির্মুল করতে পারে ভাইরাসটিকে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ০৬:৩৬
Share: Save:

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডুবে রয়েছে ভারত। আর তার ধাক্কায় গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কোভ্যাক্স প্রকল্প। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, জুন মাসের মধ্যে অন্তত ১৯ কোটি ডোজ় কম পড়বে। হু, ইউনিসেফ-সহ আরও দু’টি সংগঠন যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে এ কথা।

কোভিড-বিশেষজ্ঞেরা গোড়া থেকেই সতর্ক করে আসছেন, গোটা বিশ্বে একযোগে দ্রুত টিকাকরণ একমাত্র নির্মুল করতে পারে ভাইরাসটিকে। তা না-হলে, যে অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে, সেখানে ভাইরাসের মিউটেশন ঘটবে। শক্তি বাড়িয়ে ভাইরাস থেকে যাবে। যাতে টিকা নিয়ে রাজনীতি না-হয়, ধনী-গরিব সব দেশেই যাতে টিকা পৌঁছয়, প্রতিষেধকের সমবণ্টন হয়, সেই কথা মাথায় রেখে কোভ্যাক্স প্রকল্প তৈরি করেছে হু। কিন্তু এ পর্যন্ত সে ভাবে গতি পায়নি এই উদ্যোগ। তার উপরে ভারতের পরিস্থিতিতে জটিলতা বেড়েছে। কারণ কোভ্যাক্সে অন্যতম টিকা সরবরাহকারী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। যদিও হু জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১২৬টি দেশে ৭ কোটি ডোজ় ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জ, অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত দেশ কিংবা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল। অন্তত ৩৫টি দেশ শুধুমাত্র কোভ্যাক্সের কল্যাণে কোভিড টিকার ডোজ় পেয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘যে সব দেশে টিকাকরণ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, সেখানে সংক্রমণ কমতে দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে। পুরনো স্বাভাবিক জীবন ফিরছে কোথাও কোথাও। কিন্তু যদি গোটা বিশ্বের ছবিটা ভাবা হয়, তা হলে কিন্তু ভয় পাওয়ার মতো কারণ আরও বাড়ছে।’’

আগে স্থির করা হয়েছিল, অন্তত ২০০ কোটি ডোজ় কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে দেশে দেশে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ প্রভাবে গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত। টিকা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ভারতে মারাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে কোভ্যাক্সে। জুন মাস শেষের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার থেকে অন্তত ১৯ কোটি ডোজ় কম পড়বে।’’

পরে বেশ কিছু টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে প্রতিষেধক আসবে কোভ্যাক্সের ঘরে। সেই মতো চুক্তি হয়ে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে অভাব রয়েছে, সেটাকে উপেক্ষা করলে সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মত হু-র। তারা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই আমেরিকা এবং ইউরোপ একসঙ্গে ১৮ কোটি ডোজ় সাহায্য হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে। অন্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে হু।

হু আগেই সবুজ সঙ্কেত দেখিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসনকে। আমেরিকায় ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে মাসখানেক। এ বার ব্রিটেনও অনুমতি দিল জনসন অ্যান্ড জনসনকে কোভিড টিকাকে। ব্রিটেনের টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমএইচআরএ) আজ জানিয়েছে, ‘‘একটি ডোজ়ের এই টিকা গুণমান, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা, তিনটি ক্ষেত্রেই পাশ করেছে।’’

ও দিকে প্রথম সারির আমেরিকান জার্নাল ‘আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনা সংস্থা সিনোফার্মের তৈরি দু’টি কোভিড টিকাই ভাল ভাবে রুখে দিতে পারছে সংক্রমণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

WHO Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE