আবদুস সুবহানের বিচারের রায় শুনতে আদালতের বাইরে মুক্তিযুদ্ধ সমর্থকেরা। ঢাকায়। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী।
একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী হিসেবে খুন, গণহত্যা ও লুঠপাটের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে জামাতে ইসলামির আরও এক শীর্ষ নেতাকে ফাঁসির সাজা দিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত। ‘পাবনার ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত এই আবদুস সুবহান জামাতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা, নায়েবে আমির।
সুবহানের বিরুদ্ধে মোট ন’টি অভিযোগ এনেছিল সরকারি কৌঁসুলিরা। তার মধ্যে ৬টিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ড-সহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। সরকার পক্ষ এই রায়ে খুশি হলেও আসামি সুবহানের পরিবার ও আইনজীবীরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে গত প্রায় দেড় মাস ধরেই অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামাতে ইসলামি জোট।
দুই দলের কর্মীরা রাস্তায় না-থাকলেও চোরাগোপ্তা পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে কয়েকশো যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৯৭ জন। কয়েকশো মানুষ ভয়ানক ভাবে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু বিচারপতি রায় পড়ার সময়ে একের পর এক বোমা পড়তে থাকে আদালত ভবনের ফটকের সামনে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সুবহানের প্রাণদণ্ড ঘোষণা মাত্র উল্লাসে ফেটে পড়ে আদালতের বাইরে ও শাহবাগ চত্বরে জড়ো হওয়া মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক তরুণেরা। তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy