ছুটির সন্ধে। তার উপর আবার বিশ্বকাপ ম্যাচ। কেনিয়ার উপকূলবর্তী ছোট্ট শহর ‘পেকেটনি’-র টেলিভিশন হলে সব মিলিয়ে ভিড় একটু বেশিই হয়েছিল। কিন্তু জঙ্গিদের ঘণ্টাখানেকের তাণ্ডবে সে ভিড়, উত্তেজনা সব শেষ হয়ে গেল। কেনিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে ৩০ জন জঙ্গির এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৪৮ জন বাসিন্দার।
গত বছর সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির ‘ওয়েস্টগেট মল’-এ হামলা চালিয়ে প্রায় ৬৭ জনকে হত্যা করেছিল সোমালিয়ার আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী। তাদের দাবি ছিল, সোমালিয়া থেকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করুক কেনিয়া। না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের হামলা চলবে, হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিরা। তবে রবিবার রাতে পেকেটনিতে যে হামলা হয়েছে, তার দায় এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেনি আল-শাবাব। যদিও পুলিশের দৃঢ় ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে তারাই। গত কাল রাতে সবাই যখন ‘টেলিভিশন হল’-এ ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত, নিঃশব্দে দু’টি মিনিবাসে করে পেকেটনিতে হাজির হয় জঙ্গিরা। আর তার পরই শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলি চালানো। প্রথমে টেলিভিশন হল, তার পর ব্যাঙ্ক এবং সব শেষে পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা।
এক পুলিশকর্মীর দাবি, জঙ্গিদের কেউ কেউ ভিড়ের ভিতর থেকে পুরুষদের আলাদা করে বাইরে নিয়ে এসে নির্মম ভাবে হত্যা করে। একই সঙ্গে মহিলাদের বলতে থাকে, “সোমালিয়ায় ঠিক এটাই করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী।” হামলার ধরন এবং এ হেন মন্তব্য থেকে পুলিশের ধারণা, আল-শাবাবই এর পিছনে রয়েছে। আর সে সন্দেহ উস্কাচ্ছে আরও একটা তথ্য। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীন ঠিক একই ভাবে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় হামলা চালিয়েছিল আল-শাবাব। তাতে মারা যান ৭৭ জন।
এ বারও হয়তো সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল। এবং এর জেরে পর্যটন শিল্প যে মারাত্মক ভাবে ধাক্কা খাবে, তা নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত প্রশাসন। নিহতের সংখ্যার পাশাপাশি সে চিন্তাও কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে কেনীয় সরকারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy