Advertisement
E-Paper

চিন সাগর নিয়ে বেজিংকে সতর্ক করল আমেরিকা

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চিন আর ভিয়েতনামের মধ্যে টানাপড়েন চলছিলই। এ বার সেই বিতর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ল আমেরিকাও। আজই এ বিষয়ে চিনকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে একটি তেলের রিগ স্থাপন করেছে চিন। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল ভিয়েতনাম সরকার। কারণ তাদের দাবি ছিল, সাগরের যে অংশে চিন তেলের রিগ বসাচ্ছে, সেটি ভিয়েতনামের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সেই আপত্তিতে আমল দেয়নি চিন। দু’দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়ে যখন ভিয়েতনামে চিন বিরোধী দাঙ্গায় প্রাণ যায় বেশ কয়েক জন চিনা নাগরিকের।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৪ ০১:২১

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চিন আর ভিয়েতনামের মধ্যে টানাপড়েন চলছিলই। এ বার সেই বিতর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ল আমেরিকাও। আজই এ বিষয়ে চিনকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে একটি তেলের রিগ স্থাপন করেছে চিন। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল ভিয়েতনাম সরকার। কারণ তাদের দাবি ছিল, সাগরের যে অংশে চিন তেলের রিগ বসাচ্ছে, সেটি ভিয়েতনামের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সেই আপত্তিতে আমল দেয়নি চিন। দু’দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়ে যখন ভিয়েতনামে চিন বিরোধী দাঙ্গায় প্রাণ যায় বেশ কয়েক জন চিনা নাগরিকের। ভিয়েতনামে অবস্থিত চিনা কারখানাগুলিতে লুঠপাটও চলে। এর পরেই ভিয়েতনাম থেকে চিনা নাগরিকদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বেজিং। চিন-ভিয়েতনাম দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ভিয়েতনামই নয়, ফিলিপিন্সও অভিযোগ আনে, তাদের একটি দ্বীপে ছোটখাটো রানওয়ে তৈরির পরিকল্পনা করছে বেজিং।

এই পরিস্থিতিতে আজ সিঙ্গাপুরে এক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হাগেল। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, “সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় জোর করে অস্থিরতা তৈরি করছে বেজিং।” আমেরিকার বক্তব্য, আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছে চিন। সেই সঙ্গেই তাদের হুঁশিয়ারি, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের মাত্রাতিরিক্ত হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না ওয়াশিংটন ও তার মিত্র দেশগুলি। যদিও আজই পাল্টা উত্তর দিয়েছে চিন। হাগেলের অভিযোগের উত্তরে চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং বলেছেন, “আমরা কখনওই কোথাও গোলমাল তৈরি করতে চাই না। কিন্তু কোনও দেশ যদি ঝামেলা উস্কে দেয়, তা হলে আমাদের তার জবাব দিতেই হবে।” ফলে আমেরিকার হুঁশিয়ারিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বেজিং আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য স্থাপনের বিষয়টি এত সহজে ছেড়ে দেবে না তারা।

চিন-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েনে আজ এসেছে জাপান প্রসঙ্গও। গত কাল সম্মেলনে নাম না করে চিনের আগ্রাসী নীতিকে একহাত নিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি আরও জানান, ফিলিপিন্স আর ভিয়েতনামকে উপকূল রক্ষী দিয়ে সাহায্য করবে জাপান। এতে জাপানের উপর ক্ষুব্ধ চিন। এর উপর সম্প্রতি পূর্ব চিন সাগরে একটি দ্বীপের দখল প্রশ্নে জাপানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বেশ কিছু দিন ধরেই ওই দ্বীপটি দু’জনের বলে দাবি জানিয়ে আসছে চিন ও জাপান। বিষয়টি যে বেজিং ভাল চোখে দেখছে না, তা আজ স্পষ্ট জানিয়েছেন চিনা সেনার এক অফিসার।

তাঁর বক্তব্য, জাপানের পাশে দাঁড়িয়ে চিনের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করেছে আমেরিকা।

আদর। শনিবার ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: এএফপি

oil rig china sea vietnam china
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy