শার্লি এবদোর দফতরে জঙ্গি তাণ্ডবের নিন্দা করেছেন। অথচ নিজের দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় আশ্চর্য নীরব তিনি। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোনাথন গুডলাকের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ। বছরের শুরুতেই বাগা শহর ও চারপাশের এলাকায় তাণ্ডব চালায় বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী। দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হতাহতের সংখ্যা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।
সরকারি তরফে জানানো হয়, সংঘর্ষে জঙ্গি-সহ নিহতের সংখ্যা ১৫০-এর বেশি নয়। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, নিহত অন্তত দু’হাজার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, ছ’বছরের মধ্যে জানুয়ারির এই হামলাই সব চেয়ে ভয়াবহ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কিছু উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে তারা তাণ্ডবের ভয়াবহতা তুলে ধরেছে।
ধ্বংসের ছবি সামনে এলেও, হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় খোদ এইচআরডব্লিউ। তাদের এক কর্তার বক্তব্য, “প্রাণের ভয়ে সবাই পালিয়েছে। কে আর ওখানে থেকে লাশের সংখ্যা গুনবে বলুন?” তাঁদের অভিযোগ, নিহতের সংখ্যা চাপা দিতে চাইছে প্রশাসন। ব্রিটিশ এক টিভি চ্যানেলের দাবি, দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই মোবাইল সংযোগ নেই। ফলে অসমর্থিত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের কোনও অবকাশ নেই। সংবাদ সংগ্রহের একমাত্র অবলম্বন প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ। কিন্তু প্রত্যেকেই তখন প্রাণের ভয়ে পালাতে ব্যস্ত। রাস্তায় পড়ে থাকা অসংখ্য লাশের কথা উল্লেখ করেছেন সকলেই, কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা মেলেনি আজও। বাগার জেলা-প্রধানের যুক্তি , বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা করা ছাড়া নিহতের সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy