ফ্রান্সের কায়দায় ব্রিটেনেও হামলা চালানোর ছক কষছে জঙ্গিরা। প্যারিসে শার্লি এবদো পত্রিকার দফতরে হামলার পরেই এই হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধান অ্যান্ড্রু পার্কার।
পার্কারের দাবি, সিরিয়ায় আল-কায়দার জঙ্গিরা ব্রিটেনে গণহত্যা চালানোর ছক কষছে বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েক মাসে জঙ্গি হানার তিনটি ছক বানচাল করে দিয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এমআইফাইভ। কিন্তু তাতে বিপদ কেটে গিয়েছে এটা ভাবা উচিত নয়।
পার্কারের কথায়, “মিত্র দেশগুলির সাহায্যে যত দূর সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু নাশকতার সব চেষ্টা আটকানো সম্ভব নয়।”গোয়েন্দাদের মতে, সিরিয়া ও ইরাকে লড়ে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছে কিছু ব্রিটিশ জঙ্গি। তাদের মাধ্যমেই ব্রিটেনে হামলা চালাতে চায় আল-কায়দা। বিমানে বিস্ফোরণ, মুম্বই হামলার কায়দায় জনবহুল এলাকায় গুলিবর্ষণ করতে পারে তারা। আবার গাড়ি করে এসে হঠাৎ হামলাও চালানো হতে পারে।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনের মেট্রো ও একটি ডবল-ডেকার বাসে বিস্ফোরণ ঘটায় চার জঙ্গি। ব্রিটেনে আত্মঘাতী হামলার প্রথম নজির কার্যত নাড়িয়ে দেয় ব্রিটিশ সরকারকে। ব্রিটেনের বিভিন্ন এলাকাতে যে মৌলবাদী জঙ্গিদের ঘাঁটি রয়েছে, সেই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হন গোয়েন্দারা।
ফ্রান্সে হামলার পর থেকেই পরিচিত মৌলবাদীদের উপরে নজরদারি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, প্যারিসের ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সেই কায়দাতেই হামলা চালাতে পারে ওই মৌলবাদীরা। বিভিন্ন বন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস স্টেশনে ইউরোস্টার টার্মিনালে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র পুলিশ। আল-কায়দার পাশাপাশি আইএস জঙ্গিরাও নাশকতা ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা।