একই দিনে দু’টি সূত্র। প্রথমটি মিলেছে এক অস্ট্রেলীয় সংস্থার তরফ থেকে। তাদের দাবি, ভারত মহাসাগরের যে এলাকায় এমএইচ ৩৭০-র খোঁজ চলছে, সেখান থেকে প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছে তারা। আর দ্বিতীয় দাবিটি করেছেন মাইকেল হোয়েবেল নামে এক মার্কিন পাইলট। এক উপগ্রহচিত্র খতিয়ে দেখে তাঁর ধারণা, মালয়েশিয়ার উত্তর-পূর্বে তাইল্যান্ড উপসাগরে অক্ষত অবস্থাতেই ডুবে রয়েছে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর। তবে দু’টি দাবির কোনওটির সপক্ষেই এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি।
মালয়েশিয়ান এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল এবং সামরিক রেডার থেকে পাওয়া তথ্য জানিয়েছিল, প্রথমে বেজিংয়ের দিকে উড়লেও কিছু ক্ষণ পরই অভিমুখ বদলেছিল এমএইচ ৩৭০। তার পর সেটি মালয়েশিয়ার পশ্চিম উপকূল হয়ে মালাক্কা প্রণালী পেরিয়ে নেমে আসে দক্ষিণে, বঙ্গোপসাগরে। এবং সে যাত্রা সম্ভবত শেষ হয় ভারত মহাসাগরে। এই তথ্য যদি সত্যি হয় তা হলে তাইল্যান্ড উপসাগরে তার অক্ষত কাঠামো মেলা সম্ভব নয়। কিন্তু হোয়েবেল যে উপগ্রহচিত্রটির ভিত্তিতে এই দাবি করেছেন, তা দেখলে বিমান মনে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আকারে তো বটেই, হোয়েবেল রীতিমতো হিসেব কষে দেখিয়েছেন ওই প্রতিকৃতির আয়তনও বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআরের মতোই। তাঁর বয়ানে, “ছবিটিতে যে প্রতিকৃতি ধরা পড়েছে, তার আয়তন হুবহু বোয়িং ৭৭৭-এর মতোই।” মিল রয়েছে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যেও। যেমন প্রতিকৃতিটির দু’পাশের অংশ এক নজর দেখলে মনে হতেই পারে এ দু’টি যেন বিমানের দুই ডানা।
সমালোচকরা অবশ্য দাবি করেছেন, ছবিটি আসলে হাঙরের। হোয়েবেলের পাল্টা যুক্তি, তা-ই যদি হবে, তা হলে ধরে নিতে হয় হাঙরটি অন্তত ২১০ ফুট লম্বা। যা আদৌ সম্ভব নয়। সুতরাং সেটি বোয়িং ৭৭৭-র কাঠামো ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়ার সংস্থাটি এ দিন জানিয়েছে, ১০ মার্চ থেকে এমএইচ ৩৭০-র খোঁজ শুরু করেছিল তারা। এবং এ কাজে তাদের হাতিয়ার ছিল উপগ্রহচিত্র এবং কিছু আধুনিক প্রযুক্তি। মূলত সেই প্রযুক্তিগুলির বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম, তামা, লৌহশংকর এবং এমন কিছু পদার্থের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা যা কি না বোয়িং ৭৭৭ নির্মাণে হামেশাই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সে তো অন্য কিছুরও হতে পারে? সংস্থার মুখপাত্রের যুক্তি, তাঁরা ৫ মার্চ অর্থাৎ বিমানটি নিখোঁজ় হওয়ার তিন দিন আগের ছবিও বিশ্লেষণ করেছিলেন। এবং তাতে ওই ধরনের কোনও পদার্থের খোঁজ মেলেনি। সুতরাং তারা যে পদার্থের সন্ধান পেয়েছেন তা আসলে এমএইচ ৩৭০-রই। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি।...ওই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখবে মালয়েশিয়া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy