জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) নিধনে পশ্চিম এশিয়ায় বিমান হামলার পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনা নামানোর জল্পনা উস্কে দিল পেন্টাগন। পরিস্থিতি এলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছেও সেই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানালেন এক মার্কিন আধিকারিক।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফসের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসির কথায়, “পরিস্থিতি আরও কঠিন হলে প্রয়োজনে আইএসআইএস-এর সঙ্গে লড়াই করতে ইরাকের সেনা বাহিনীর সঙ্গে মার্কিন সেনাও যোগ দিতে পারে। প্রেসিডেন্টকেও এই প্রস্তাবের কথা জানানো হবে।”
গত অগস্ট মাসে আইএস জঙ্গি নিধনে ইরাকে নিয়ন্ত্রিত বিমান হামলা শুরু করে আমেরিকা। তখন থেকেই আরও একবার ইরাকের মাটিতে মার্কিন সেনা অভিযান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও সেই সময়েই ওবামা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই ইরাকে মার্কিন সেনা নামানো হবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছিলেন, নিয়ন্ত্রিত বিমান হামলা চালিয়ে কুর্দ ও পেশমেরগা বাহিনীর পাশাপাশি ইরাকি সেনাকে জঙ্গি নিধনে সাহায্য করবে তাঁর দেশ। তার পর থেকে একাধিক বার ইরাকের বিভিন্ন এলাকায় চলেছে মার্কিন বিমান হামলা। শিনজার পাহাড়ে আটকে থাকা ইয়েজেদি সম্প্রদায়ের মানুষের অবস্থা জেনে তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সেখানে প্রতিনিধি দলও পাঠায় আমেরিকা। এই মার্কিন উদ্যোগকে ‘অতি তৎপরতা’ আখ্যা দিয়ে ইরাকে মার্কিন হামলার বিরোধিতা করে ইরান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি আইএসআইএস জঙ্গিরা দুই মার্কিন সাংবাদিক ও এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর মুণ্ডচ্ছেদের পর প্রতিটি দেশের কাছেই সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে আমেরিকা। ন্যাটো শীর্ষ বৈঠকে সেই প্রস্তাব রেখে সাহায্যের আশ্বাসও মিলেছে। মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি জঙ্গিযুদ্ধে সামিল হওয়ার আর্জি নিয়ে ইরাক, মিশর, তুরস্ক-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
আইএস জঙ্গিদের ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপের কথা বার বার জানালেও ওবামা ইরাকের মাটিতে সেনা নামানোর বিরোধিতা করে আসছেন প্রথম থেকেই। যদিও কাল সন্ধেয় ডেম্পসির এক মুখপাত্র কর্নেল এড টমাস জানান, প্রেসিডেন্টের বর্তমান পরিকল্পনার প্রতি তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এর বাইরে অবশ্য কিছুই বলেননি ডেম্পসি।