মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কের। বিকল হয়ে গিয়েছে ছোট্ট শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো। ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শুধু ধুকপুক করছে হৃৎপিণ্ডটা। জবাব দিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সন্তানকে ‘মৃত’ মানতে রাজি নন মা-বাবা। তাঁদের দাবি, এখনও প্রাণ আছে তাঁদের ছেলের দেহে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে মিরাকল। সেই সম্ভাবনাটুকু আঁকড়েই আদালতে মামলাও করেছেন তাঁরা।
লন্ডনের এই ঘটনায় আদালতও রায় দিয়েছে, এক বছরের শিশুটির বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য, তাই ভেন্টিলেটর খুলে ফেলারই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এক বছরের ওই শিশুটির জন্মের সময়েই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি ছিল। তখনও ভেন্টিলেটরে কিছু দিন থাকার পর সুস্থ হয়েছিল সে। কিন্তু গত বছরে শ্বাসযন্ত্রে মারাত্মক সমস্যা শুরু হয় তার। আবারও ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাকে। দীর্ঘদিন ধরে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। এ বার ভেন্টিলেটর খুলে দিতে হবে।
শিশুটির মা অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান সুস্থ হচ্ছেন আস্তে আস্তে। কিন্তু সে কথা শুনছেন না চিকিৎসকেরা। বাবাও বলেন, “মস্তিষ্কের মৃত্যু মানেই তো জীবন শেষ নয়। কারও জীবনের অধিকার কেড়ে নিতে পারেন না চিকিৎসকেরা।”
কিন্তু আদালতের রায় শোনার পর কার্যত হতাশ শিশুটির বাবা-মা। বিচারকের কাছে মায়ের আর্জি, “সব কিছুর পরেও ওর দেহে প্রাণ আছে। ভেন্টিলেটরের সাহায্যে হলেও বেঁচে আছে আমাদের ছেলে। যত ক্ষণ বেঁচে আছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ভেন্টিলেটর থাক।” বিচারক জানিয়েছেন, সহানুভূতি দিয়েই মামলাটির বিচার করেছেন তিনি। শিশুটি বেঁচে উঠতে পারে এ কথা তার বাবা-মায়ের দৃঢ় বিশ্বাস হলেও, চিকিৎসা বিজ্ঞানে তা আর সম্ভব নয়। তাই সব দিক ভেবে চিন্তেই ভেন্টিলেটর খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy