১৭ এপ্রিল ২০২৪
Influenza

জ্বর হলেই প্যারাসিটামল নয়, বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, জানাচ্ছেন চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি প্রতিরূপ হল সোয়াইন ফ্লু। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় এনওয়ানএইচওয়ান। উপসর্গগুলি হল ব্যপক জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি।

ঘরে ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর

ঘরে ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৪৫
Share: Save:

বাঙালির পুজোনামচা শেষ। সেই সঙ্গে ষড়ঋতুর এই শহরে আবহাওয়াও বদলাতে শুরু করেছে। সকালে আকাশ ভরা রোদ, তো রাত বাড়তে শুরু করলেই ঠাণ্ডার আবেশ। আবহাওয়ার এই বদলকে সঙ্গী করেই কম-বেশি প্রতিটি ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর। কখনও ভাইরাল, কখনও বা মশাবাহিত, আবার কখনও জ্বরের কারণ জানতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। ঠিক কোন কারণে ঘরে ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর? জ্বর সম্পর্কে কোন কোন তথ্য সাধারণ মানুষের জানা উচিত? প্রতিকারের উপায়ই বা কী? উত্তর নিয়ে হাজির অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল-এর সিনিয়র কনসালটেন্ট চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

আলোচনায় চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

বক্তব্যের শুরুতেই চিকিৎসক স্বীকার করে নিলেন যে বর্তমানে এই জ্বরের সমস্যা প্রতিটি ঘরে ঘরে। যদিও এই জ্বরকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। যে কোনও জ্বরের প্রাথমিক ও মূল উপসর্গ হল গা গরম ও মাথা ব্যথা। চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, জ্বরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীর যদি সর্দি, কাশি, হাঁচি, গলা ব্যথা ইত্যাদি থাকে, তা হলে বুঝতে হবে ভাইরাস শ্বাসযন্ত্র বা শ্বাসনালি আক্রমণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মূলত কোভিড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ফ্লু ইত্যাদি বিভিন্ন জ্বর, যা সাধারণত সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের কারণেই হয়।

একটি পরিসংখ্যানের কথা বলতে গিয়ে চিকিৎসক বললেন, “একটু সহজ ভাবে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে এই ইনফ্লুয়েঞ্জার আক্রমণ এবং আক্রান্তের সংখ্যা কোনও কোনও ক্ষেত্রে কোভিডের থেকে অনেক বেশি। অর্থাৎ কোভিডে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তার থেকেও অনেক অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরে।”

এই ইনফ্লুয়েঞ্জারই একটি প্রতিরূপ হল সোয়াইন ফ্লু। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় এনওয়ানএইচওয়ান। চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “এই রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে বহু মানুষ এর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। উপসর্গগুলি হল ব্যপক জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি। কোনও ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হতে পারে।”

প্রতিকার কী? উত্তরে চিকিৎসক বললেন, “এই জ্বরের ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধেই এই জ্বর সারতে পারে। তবে অবহেলা করলে সমস্যা জটিল হতে পারে।”

এ তো গেল ভাইরাল জ্বরের কথা। তবে অনেক ক্ষেত্রে কোনও রোগীর জ্বর হলেও সর্দি, কাশি কিছুই থাকে না। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, “এই জ্বরগুলির ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। এ মধ্যে রয়েছে, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গি ইত্যাদি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা ডেঙ্গি এবং টাইফয়েডের প্রচুর ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। তাই সাবধান থাকাটা ভীষণ দরকার।”

অতএব সচেতন থাকুন। জ্বর হলেই ওষুধ খাবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সর্বদা আপনার পাশে রয়েছে।

এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।'

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE