উন্নয়নের আসল শক্তি গড়ে ওঠে গ্রামের মাটিতেই, আর সেই শক্তিকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন আমাদের পঞ্চায়েত প্রধানরা। তাঁরাই হলেন গ্রাম উন্নয়নের মূল চালক—যাঁদের নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ সমাজের রূপ। সড়ক, সেতু, পানীয় জল কিংবা বিদ্যুৎ সংযোগ—প্রতিটি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রেও তাঁদের দৃঢ় উপস্থিতি চোখে পড়ে। তাঁদের নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির ফলেই আজ গ্রামবাংলা এগিয়ে চলেছে নতুন স্বপ্নপূরণের পথে।
এই পরিবর্তনের সাথী হিসেবে দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত সিমেন্ট ব্র্যান্ড ‘আল্ট্রাটেক’ প্রতিটি পঞ্চায়েত প্রধানের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামের উন্নয়নে নিজেদের অভিজ্ঞতা, গুণগত মান এবং নির্ভরযোগ্যতার শক্তিতে ভর করে ‘আল্ট্রাটেক’ হয়ে উঠছে প্রকৃত নির্মাণযাত্রার সহযাত্রী। সম্প্রতি দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক, নিয়ে এসেছে এক অভিনব উদ্যোগ—‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যে, কলকাতার রাজারহাটের ‘আইবিস’ হোটেলে আয়োজন করেছিল ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সে দিনের অনুষ্ঠান। এরপর উত্তরীয় ও স্মারক দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। এই অভিনব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পঞ্চায়েত ও প্রামীণ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি, পর্যটন বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের প্রাক্তন অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি এবং আর্থিক উপদেষ্টা, বাণিজ্য এবং শিল্প বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর, সেক্রেটারি, রাজ্যের খাদ্য এবং সরবরাহ দপ্তরের কনজিউমার গুডস্ বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর, সেক্রেটারি রূপেন চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর ‘প্রেসিডেন্ট অফ হেড অফ মার্কেটিং’ অজয় ড্যাং। এ ছাড়াও ছিলেন ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর মার্কেটিং বিভাগের জয়েন্ট প্রেসিডেন্ট চন্দন কুমার, দক্ষিণবঙ্গের ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর সেলস্ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অবিনাশ মিশ্র এবং ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর পূর্ব আঞ্চলিক প্রধান, যুগ্ম সভাপতি শ্রীকৃষ্ণাণ রাজামানি।
বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি, ঋদ্ধি ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন সভাপতি, বর্তমানে MORD স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, সিগমা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি চিকিৎসক মানবেন্দ্র নাথ রায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি ও প্রাক্তন জয়েন্ট সেক্রেটারি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রাক্তন স্পেশাল সেক্রেটারি, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন এক্সাইজ় কমিশনার, রাজ্যের অর্থ বিভাগের প্রাক্তন সেক্রেটারি, কলকাতার পানীয় জল ও স্যানিটেশন সেক্টরে ইউনিসেফের প্রাক্তন সিনিয়র কনসালট্যান্ট দেবকুমার চক্রবর্তী, অবসরপ্রাপ্ত সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, অরিজিৎ দত্ত এবং উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বালি দ্বীপ, সুন্দরবনের ফেরিওয়ালা এনজিয়োর প্রতিষ্ঠাতা সৌমিত্র মণ্ডল।
এই অনুষ্ঠানের মাননীয় প্রধান অতিথি রূপেন চৌধুরী পঞ্চায়েতের বিবর্তন ও ঐতিহ্যে প্রসঙ্গে বলেন, “১৯৭৮ সালে নতুন ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শুরু হয়। সে বছরই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের ইতিবাচক ভূমিকা প্রমাণ করে রাজ্য প্রশাসনে পঞ্চায়েত অপরিহার্য। এরপর ১৯৯৪ সালে ৭৩তম সংবিধান সংশোধনের সময়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে পঞ্চায়েত সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়। ততদিনে এ রাজ্যে তিনটি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেছে। পরবর্তীকালে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বাড়াতে আইনের সংশোধনও করা হয়। আজকের পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানান চাপ থাকলেও প্রধানরা উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেছেন। এটাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আসল শক্তি। চাইব ভবিষ্যতেও যেন এই ধারা বজায় থাকে।”
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দেশের নাম্বার ১ সিমেন্ট ‘আল্ট্রাটেক’-এর পক্ষ থেকে অবিনাশ মিশ্র বলেন, “আল্ট্রাটেক বিশ্বাস করে ‘গ্রাম গড়বে, দেশ এগোবে’। বিশ্বাস করে পরিকাঠামো যদি অর্থনীতির
মেরুদন্ড হয় তবে গ্রাম প্রধানরাই আর্থিক পরিকাঠামোর জীবন রেখা। শুরু থেকে ছিলাম, আগামী দিনেও গ্রামাঞ্চলের উন্নতির জন্য আমরা গ্রাম প্রধানদের সব রকম সহায়তা করব।”
গ্রাম প্রধানদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ শুধু মাত্র গ্রামগুলিই যে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে তা নয়, বরং এই উন্নয়নই ভিত মজবুত করছে দেশের অগ্রগতির। তাঁদের সম্মান জানাতেই ‘আল্ট্রাটেক’-এর এই অভিনব উদ্যোগ, ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’। প্রায় এক মাস ব্যাপী চলা এই কর্মযজ্ঞে রাজ্যের হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল কলকাতা জ়োন। প্রায় ৭০০টি আবেদনপত্রর মধ্যে থেকে কাজের নমুনার ছবি ও ভিডিয়ো দেখে বিচারকরা ২০জন পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেন ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই এই উদ্যোগের অভিনবতা ও প্রাসঙ্গিক গুরুত্বকে আন্তরিকভাবে সম্মান জানিয়েছেন। প্রতিটি বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রধানকে উত্তরীয় এবং ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সার্টিফিকেট প্রদান করে তাঁদের অবদানের এক গর্বিত স্বীকৃতি জানানো হয়েছে। মঞ্চে উঠে যখন বিজয়ীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও যাত্রাপথের কথা তুলে ধরেন, তখন তাঁদের কণ্ঠে শোনা যায় আত্মবিশ্বাস, এবং নিজের গ্রামকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অটুট সংকল্প। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় প্রত্যেকেই এই ব্যতিক্রমী ও ইতিবাচক প্রয়াসের জন্য উদ্যোক্তা ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’ এবং মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক প্রশংসা প্রকাশ করেন।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।