Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

চোখ রাঙাচ্ছে ভয়াল মন্দা, বার্তা গোল্ডম্যানের

শুধু গোল্ডম্যান স্যাক্সই নয়, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা যে নুয়ে পড়া অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করতে পারবে না, তা মনে করেন আরও অনেক বিশেষজ্ঞই।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু ও মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০৫:৪৬
Share: Save:

৫ নয়, ১০ নয়। এক ধাক্কায় ৪৫।

করোনার ধাক্কায় এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি ওই ৪৫% হারেই সঙ্কুচিত হবে বলে পূর্বাভাস দিল গোল্ডম্যান স্যাক্স। সেই সঙ্গে জানাল, পাঁচ দফায় কেন্দ্র ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্প আসলে মাঝারি মেয়াদের পরিকল্পনা। স্বল্প মেয়াদে অর্থনীতিকে ঠেলে তুলতে তেমন কাজে আসবে না। আর সেই কারণেই এই ত্রৈমাসিকে তলিয়ে যেতে পারে জিডিপির হার। তার পরের তিন ত্রৈমাসিকে তা দাঁড়াবে যথাক্রমে ২০%, ১৪% এবং ৬.৫%। আর গোটা অর্থবর্ষের সঙ্কোচন ৫%। যা এখনও পর্যন্ত ভারতের ক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার সব চেয়ে খারাপ পরিসংখ্যান।

শুধু গোল্ডম্যান স্যাক্সই নয়, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা যে নুয়ে পড়া অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করতে পারবে না, তা মনে করেন আরও অনেক বিশেষজ্ঞই। ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা থেকে শুরু করে নোমুরার মতো উপদেষ্টা সংস্থার মতে, কেন্দ্রের ঘোষণা মাঝারি মেয়াদে অর্থাৎ, তিন বছর পরে গিয়ে কাজে লাগবে। কিন্তু এখনই তার হাত ধরে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। যে কারণে ত্রাণ ঘোষণা সত্ত্বেও নিজেদের আগের পূর্বাভাসই ধরে রেখেছে তারা।

সোমবার ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা জানিয়েছে, জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের সঙ্কোচনের হার দাঁড়াতে পারে ১২%। পুরো অর্থবর্ষে ০.১%। আর নোমুরার মতে, ২০২০-২১ সালে জিডিপি সঙ্কুচিত হবে ৫% হারে।

আরও পড়ুন: লকডাউনের জের! ১১০০ কর্মী ছাঁটাই করবে সুইগি

রাজকোষ ঘাটতি নিয়েও সতর্ক করেছে উপদেষ্টা সংস্থাগুলি। নোমুরা জানাচ্ছে, কাজের কাজ তেমন না-হলেও, ত্রাণ প্রকল্পের জেরে ভারতের ঘাটতি আরও একটু বাড়তে পারে। গোল্ডম্যানেরও দাবি তেমনই। ঘাটতি সামলাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ফের এক দফা সুদ ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে বলে ধারণা ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার। আর ডিবিএস ব্যাঙ্কের সতর্কবার্তা, কেন্দ্রের রাজকোষ ঘাটতি এবং আর ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোয় রাজ্যের ঘাটতি, দুইয়ে মিলে চলতি অর্থবর্ষে ঘাটতি পৌঁছতে পারে জিডিপির ১২ শতাংশে।

বৃদ্ধি এবং ঘাটতিতে ধাক্কার কথা মানলেও, ত্রাণ প্রকল্প দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতিকে কিছুটা অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছে প্রায় সব মহলই। এ ক্ষেত্রে কৃষি, খনন, বিদ্যুৎ, শিল্পের মতো নানা ক্ষেত্রে ঘোষণা করা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছে তারা। পাশাপাশি সংস্থাগুলির মতে, করোনার সুযোগে ‘রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর’ বেশ কিছু সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। যা পরে কাজে লাগবে। কিন্তু একই সঙ্গে তাদের প্রশ্ন, স্বল্প মেয়াদে পরিস্থিতি চাঙ্গা হবে কী ভাবে?

পর্যটন, হোটেল বা বিমানের মতো শিল্পের কিছু না-পাওয়া অর্থনীতিকে চিন্তায় রাখবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই অবস্থায় গোল্ডম্যান মনে করে, আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি না-শোধরালে কেন্দ্রের কাছে ফের ত্রাণের দাবি জোরালো হবে। তবে ঘাটতির কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সে ব্যাপারে পা ফেলবে মেপে।

আরও পড়ুন: পাঁচ দিনে এল কী, বাজার মাপবে আজ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE