Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অনুৎপাদক সম্পদের জন্য দায়ী বড় ঋণখেলাপিরা

জেটলি বলেন, কম অঙ্কের ঋণ বকেয়া পড়লে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণও কম হয়। কৃষি, ছোট ব্যবসা, এমনকী কেন্দ্রের মুদ্রা প্রকল্পেও ঋণের ক্ষেত্রে অনুৎপাদক সম্পদের অঙ্ক খুবই কম। কিন্তু, ব্যাঙ্কের বেশির ভাগ অনুৎপাদক সম্পদই তৈরি হয়েছে বড় ঋণখেলাপিদের হাত ধরে।

সংবাদ সংস্থা
পুণে শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৫
Share: Save:

ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ তৈরি হওয়ার পিছনে রয়েছে বড় অঙ্কের না-মেটানো ঋণই। যা নিয়েছেন ‘রাঘব-বোয়ালরা’। সোমবার পুণেতে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর মতে, এই সব বড় ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা আদায় করাই ব্যাঙ্কগুলির কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

জেটলি বলেন, কম অঙ্কের ঋণ বকেয়া পড়লে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণও কম হয়। কৃষি, ছোট ব্যবসা, এমনকী কেন্দ্রের মুদ্রা প্রকল্পেও ঋণের ক্ষেত্রে অনুৎপাদক সম্পদের অঙ্ক খুবই কম। কিন্তু, ব্যাঙ্কের বেশির ভাগ অনুৎপাদক সম্পদই তৈরি হয়েছে বড় ঋণখেলাপিদের হাত ধরে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট অনুৎপাদক সম্পদের ২৫ শতাংশই ১২টি অ্যাকাউন্টের হাত ধরে এসেছে বলে আগেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের চিহ্নিত করে দেউলিয়া আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

এ দিন সেই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিন্তু কিছু ঋণখেলাপির জন্য তাদের ধার দেওয়ার ক্ষমতা খর্ব হলে সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতিই ধাক্কা খাবে। তা আটকাতেই কেন্দ্র দেউলিয়া আইনের আওতায় ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE