প্রত্যক্ষ কর বা জিএসটি, কোনওটির সংগ্রহই প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছয়নি। এই অবস্থায় শুক্রবার পদস্থ কর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে। জানালেন, চলতি অর্থবর্ষে কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে কর ফাঁকি রোখায় বাড়তি জোর দিতে হবে।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও বলেছিলেন, জিএসটি সংগ্রহ বাড়াতে গেলে করের হার বাড়ালে চলবে না। বরং কর ফাঁকি রোখা ও রিটার্ন দাখিল সহজ করায় জোর দিতে হবে। এ দিন কার্যত তাঁদের পরামর্শই স্বীকৃতি পেল বৈঠকে।
অর্থবর্ষের শেষ চার মাসে ৪.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে অর্থ মন্ত্রক। কর্পোরেট কর কমানো হলেও প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১৩.৩৫ লক্ষ কোটি। সূত্রের খবর, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে সচিবের নির্দেশ, কর সংগ্রহে গতি আনতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট দিতে হবে। স্বেচ্ছায় করখেলাপিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সাধারণ করদাতাদের যাতে হয়রানি না-হয় সে ব্যাপারে এ দিনও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের।