মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা অ্যামাজ়নে ফের ছাঁটাই! সূত্রের খবর, এ বার প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী কমাবে তারা। ফলে ‘পিপ্ল এক্সপিরিয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ বা পিএক্সটি দলের সদস্যদের চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সংবাদসংস্থা ‘ফরচুন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে হিউম্যান রিসোর্স বা এইচআর দফতর। এ ছাড়া ভোক্তা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মীকে দরজা দেখাতে পারে অ্যামাজ়ন। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেয়নি সংশ্লিষ্ট বহুজাতিক মার্কিন সংস্থাটি।
সম্প্রতি কনজ়িউমার গ্রুপ, ওয়ান্ডারি পডকাস্ট আর্ম এবং অ্যামাজ়ন ওয়েব সার্ভিসেসের (এডব্লিউএস) মতো দফতরগুলির কর্মীদের একাংশ ছাঁটাইয়ের প্রকোপে পড়েন। তবে সেই সংখ্যা বেশি ছিল না। সূত্রের খবর, এর পরই মানব সম্পদ বিভাগের বড় অংশ কমানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সংশ্লিষ্ট মার্কিন সংস্থা। এই প্রক্রিয়া কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অ্যামাজ়নের মোট কত জন চাকরি হারাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
বহুজাতিক মার্কিন সংস্থাটিতে গণহারে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কার জন্য কৃত্রিম মেধা বা এআইকে (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) দায়ী করেছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। বর্তমানে এই প্রযুক্তির জন্য বিপুল লগ্নি করছে অ্যামাজ়ন। এ ছাড়া ‘ক্লাউড অপারেশন’ প্রযুক্তির জন্যেও বিনিয়োগ বাড়িয়েছে তারা। চলতি আর্থিক বছরে (২০২৫-’২৬) এর জন্য মোট ১০ হাজার কোটি ডলার খরচের পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট বহুজাতিক মার্কিন সংস্থাটির।
সূত্রের খবর, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কৃত্রিম মেধাকে সামনে রেখে সংস্থার অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী এবং পাল্টে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে অ্যামাজ়নের। এর জন্য বিরাট এক তথ্যভান্ডার তৈরি করছে তারা। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মার্কিন সংস্থাটির ‘চিফ এক্জ়িকিউটিভ অফিসার’ বা সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি।
অ্যামাজ়নের সিইও মনে করেন, এআই দ্বারা পরিচালিত হবে নতুন যুগ। এই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে সমস্ত কর্মচারীকে যেতে হবে। গত জুন মাসে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন তিনি। সংস্থার সমস্ত কর্মীর কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সবাইকে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান অ্যান্ডি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সংস্থায় জ়েফ বেজোসের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল অ্যান্ডির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাঁটাই প্রত্যক্ষ করেছে অ্যামাজ়ন। ২০২২-’২৩ সালের মধ্যে চাকরি হারান মোট ২৭ হাজার কর্মী। কোভিড অতিমারি পরবর্তী সময়ে ভোক্তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের কারণে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মার্কিন সংস্থা। এ বার সেই সংখ্যা পেরোতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকেরা।