লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার সময় শেয়ার বাজার এবং বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি-সহ বিভিন্ন মহলের বিশ্বাস ছিল, এ বার কেন্দ্রে স্থায়ী ও স্থিতিশীল সরকার গঠিত হতে চলেছে। যেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না-হলেও দাপট থাকবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের। কিন্তু ভোট পর্বের শেষের দিকে এসে চিড় ধরেছে সেই ধারণায়। যে দলই আসুক না-কেন, মনে করা হচ্ছে জোট শরিকদের নিয়েই চলতে হবে তাদের। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। গত ছ’দিন ধরে টানা পড়ছে সূচক। বুধবার সেনসেক্স পড়েছে ৪৮৭.৫০ পয়েন্ট। নিফ্টি ১৩৮.৪৫ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স এবং নিফ্টি থামে যথাক্রমে ৩৭,৭৮৯.১৩ এবং ১১,৩৫৯.৪৫ অঙ্কে। এ দিকে টানা তিন দিন ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দামও। বুধবার প্রতি ডলারের দাম ২৮ পয়সা বেড়ে পৌঁছেছে ৬৯.৭১ টাকায়।
দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে-র মতে, ভোট ছাড়াও আমেরিকা ও চিনের মধ্যে নতুন করে শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হওয়া সূচকের পতনের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা শেয়ার বিক্রি ও গত অর্থবর্ষে বেশ কিছু সংস্থার আর্থিক ফল আশানুরূপ না-হওয়াও সূচকের পতনের জন্য দায়ী। বিশেষত শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কায় এ সপ্তাহের প্রথম তিন দিনেই সেনসেক্সের নেমেছে ১,১৭৪ পয়েন্ট।
এ দিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা বলতে ওয়াশিংটনে গিয়েছে চিনা প্রতিনিধিদল। এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, শুল্ক নিয়ে চুক্তির করতেই আমেরিকায় আসছে চিনের সরকারি কর্তারা। যদিও অনেকের মতে, ক্রমাগত হুমকির আবহে সেই চুক্তির কাজ আদৌ কত দূর এগোবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী কয়েক দিনে বাজার আরও পড়বে। যেমন ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এসে কে কৌশিক বলেন, ‘‘সেনসেক্স আরও দেড় হাজার পয়েন্ট পড়লেও হব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy