নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল অ্যাপ্ল। চার লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাবে যোগ দিল আইফোন নির্মাণকারী এই মার্কিন টেক জায়ান্ট। উৎসবের মরসুমে ১৭ সিরিজ়ের নতুন ফোন-সহ একগুচ্ছ ডিভাইস বাজারে আনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সেগুলির বিক্রি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সাফল্য মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বর্তমানে অ্যাপ্লের পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে ভারত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন রফতানির নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
মার্কিন শেয়ার বাজার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৬৯.২ ডলারে গিয়ে পৌঁছোয় অ্যাপ্লের স্টকের দাম। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ১৭ সিরিজ়ের নতুন আইফোন-সহ অন্য ডিভাইসগুলি বাজারে আনে তারা। অক্টোবর শেষ হওয়ার মুখে সংস্থাটির লাভের অঙ্ক ১৩ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে। এই সাফল্যের নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন বিশ্লেষকেরা।
আরও পড়ুন:
বিশেষজ্ঞদের কথায়, অ্যাপ্লের বাজারমূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে প্রথম কারণ হল যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের আমজনতার মধ্যে এর নতুন ডিভাইসগুলির ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ১৭ সিরিজ়ের আইফোন লঞ্চের আগে এবং প়ড়ে বেশ কয়েক বার এই দুই ‘সুপার পাওয়ার’কে শুল্কযুদ্ধে জড়াতে দেখা গিয়েছে। সেটা মার্কিন টেক জায়ান্টটির ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, বাস্তবে সেটা হয়নি।
রেটিং সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছেন, মেদহীন চেহারার জন্য আমেরিকা এবং চিনের বাজারে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইফোন এয়ার। এ ছাড়া আইফোন-১৬ সিরিজ়ের ফোনগুলির তুলনায় ১৭ সিরিজ়ের ডিভাইসের বিক্রি ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই ব্রোকারেজ় ফার্ম এভারকোর আইএসআইয়ের অনুমান, চলতি আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আগের পূর্বভাসকে ছাপিয়ে যাবে অ্যাপ্ল।
বর্তমানে মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থাটির তৈরি আইফোনের সর্বশেষ মডেলের ব্যাপক হারে ‘একত্রিতকরণ’ বা অ্যাসেম্বিলং করছে ফক্সকন এবং টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত পেগাট্রন ইউনিট। এখানে তৈরি হওয়া ফোনের সিংহভাগই ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে রফতানি করছে ভারত। একই ভাবে ঘরোয়া বাজারেও ওই ইউনিটগুলি থেকে আসছে আইফোন। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলি ধীরে ধীরে অ্যাসেম্বলিং প্রক্রিয়া থেকে এগিয়ে সম্পূর্ণ ডিভাইসটি তৈরির দিকে এগোচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গত এপ্রিলে বেঙ্গালুরুর নতুন কারখানায় অ্যাপ্লের সর্বশেষ মডেলের ট্রায়াল রান শুরু করে ফক্সকনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হোন হাই। উৎপাদন ক্ষমতার নিরিখে বর্তমানে এটি দেশের সবচেয়ে বড় আইফোন কারাখানা। সংশ্লিষ্ট ইউনিটটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে টাটা ইলেকট্রনিক্স, উইস্ট্রন এবং পেগাট্রনের মতো কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থা।