—প্রতীকী চিত্র।
অতিমারিতে অনেক ক্ষেত্রের মতো দেশের আবাসন ক্ষেত্রও ধাক্কা খেয়েছিল। পরে তা ঘুরে দাঁড়ালেও মূল্যবৃদ্ধি, গৃহঋণের সুদের হার বৃদ্ধির মতো কারণে কম দামি ও সাধ্যের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাটের (৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে) চাহিদা কমেছে। আর তা বেড়েছে ১ কোটি বা তার চেয়ে বেশি দামি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে। উপদেষ্টা সংস্থা জেএলএল ইন্ডিয়ার হিসাব, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে দেশে ৫০ কোটি টাকা বা তার চেয়েও দামি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বিক্রি (টাকার অঙ্কে) বেড়েছে ৫১%। যদিও সংখ্যার বিচারে এমন ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৫০টিরও কম। তার মধ্যে আবার এক-তৃতীয়াংশের দাম ১০০ কোটি টাকারও বেশি! সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, অতিমারির পরে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির প্রমাণ এই সামগ্রিক পরিসংখ্যান।
ক’টি শহরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করেনি জেএলএল ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে, ২০২২ সালে ৫০ কোটি টাকার বেশি দামি ২৯টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছিল। যেগুলির মোট মূল্য ছিল ২৮৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ৪৫টি এমন ফ্ল্যাট বিক্রি হয়। মোট মূল্য ৪৩১৯ কোটি। এই হিসাবের মধ্যে অবশ্য বাংলোও রয়েছে।
জেএলএল ইন্ডিয়ার প্রধান অর্থনীতিবদ ও প্রধান গবেষক সামন্তক দাস বলেন, ‘‘৪৫টির মধ্যে ১৪টি বাড়ির দাম ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি। তার মধ্যে ৭৯ শতাংশই মুম্বই এলাকার।’’ সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মালাবার হিল্স, ওরলিতে বেশিরভাগ কেনাবেচা হয়েছে। রয়েছে দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল এবং গুরুগ্রাম।
আবাসন শিল্পের একাংশের বক্তব্য, সম্পত্তির দাম এবং একাংশের জীবনযাত্রার সার্বিক মান বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিলাসবহুল আবাসন কেনার আগ্রহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্যের সুবিধা, বিনিয়োগের সহজ পদ্ধতি, দেশের সঙ্গে যোগসূত্র বজায় রাখার মানসিকতা— এই সবই প্রবাসী উচ্চবিত্তদের পুঁজি ঢালার আগ্রহ বাড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy