পুজোর আগে কল্যাণী পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির কর্তারা। এ বার তাঁদের দাবি, নৈহাটি, উত্তর ব্যারাকপুর, গয়েশপুর-সহ বেশ কিছউ পুর এলাকাতেও এ বছরের মধ্যে তা পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্য। কারণ, এই গ্যাস সরবরাহের লাইন পাতার জন্য কল্যাণী ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং হুগলির প্রায় ২৪টি পুরসভা থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে সংস্থা।
বেঙ্গল গ্যাসের সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আশা করছি, লক্ষ্য পূরণ হবে। কল্যাণী পুর এলাকায় পুজোর আগেই গ্যাস পাঠাতে পারব। তারপর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে নৈহাটি, উত্তর ব্যারাকপুর, গয়েশপুরের মতো একাধিক পুরসভা এলাকার মানুষ তা পেতে পারেন।’’ ছাড়পত্র পাওয়া অন্যান্য পুর এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, বাঁশবেড়িয়া, পানিহাটি, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, টিটাগড়, কামারহাটি, উলুবেড়িয়া, রাজপুর-সোনারপুর ইত্যাদি। অনুপম জানান, বর্ষার জন্য কিছু সমস্যা হলেও, সব জায়গাতেই কমবেশি পাইপের গ্যাসের কাজ চলছে। পুজোর পরে পুরোদমে প্রকল্প এগোলে এই সব এলাকার বেশির ভাগ অংশে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পরিষেবা চালু হয়ে যেতে পারে।
অনুপমের দাবি, কল্যাণীতে ‘মাদার গ্যাস স্টেশন’ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ। এখান থেকেই মূলত প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রিত হবে। ফলে শীঘ্রই সেখানকার পুর এলাকায় পাইপ দিয়ে গ্যাস পাঠানো যাবে। এ ছাড়া, শ্যামনগর ও ব্যারাকপুরে দু’টি ‘মাদার সিএনজি স্টেশন’ গড়া হচ্ছে। তার জন্য জমি চূড়ান্ত হয়েছে। অন্য দিকে, কলকাতার ভিতরে গ্যাসের লাইন পাতার জন্য ভিআইপি রোডের হলদিরাম থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত রাস্তার কাজের ছাড়পত্র হাতে আসার মুখে। এলেই শুরু হয়ে যাবে পাইপলাইন বসানোর প্রক্রিয়া। কালিকাপুর থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই পাইপবসে গিয়েছে।
শুধু পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস নয়, কলকাতা শহর এবং শহরতলিতে সিএনজি গ্যাসের (প্রাকৃতিক গ্যাস) অপ্রতুলতা কাটাতেও একাধিক পদক্ষেপ করছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যেই নিউটাউনে একটি সিএনজি পাম্প চালু করা হয়েছে। বাকি অনেকগুলি পেট্রল পাম্পে সিএনজি গ্যাস পাওয়ার বন্দোবস্ত সম্পন্ন। উত্তর শহরতলির রুইয়া, শ্যামনগর এবং ব্যারাকপুরে তিনটি জমি নিয়ে পাম্প তৈরি করা হচ্ছে। গড়া হচ্ছে উল্টোডাঙা, টালিগঞ্জের মতো জায়গার সরকারি বাস ডিপোতেও। সংস্থার কর্তারা আশা প্রকাশ করে বলছেন, ‘‘রাজ্য সরকার এই বিষয়টি নিয়ে যে ভাবে চিন্তাভাবনা করছে, তাতে আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে গোটা রাজ্যে সিএনজির একটি উন্নত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)