লোকসভায় পাশ হল কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক (সংশোধনী) বিল। সেপ্টেম্বরে জিএসটি-তে করের স্তর কমানোয় এখন আর ২৮% হার এবং তার উপরে সেস বসানোর ব্যবস্থা নেই। যা মূলত বিলাসবহুলের পাশাপাশি সিগারেট-সহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পণ্যে চাপত। তাই এগুলিতে উৎপাদন শুল্ক বাড়াতে এই বিল এনেছে কেন্দ্র। লক্ষ্য, চড়া কর চাপিয়ে ক্রেতাদের নিরুৎসাহ করা। তবে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, সেস-এর টাকা রাজ্যকে দিতে হয় না বলেই এই সিদ্ধান্ত। বুধবার তা উড়িয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিল নিয়ে বিতর্কে জানান, উৎপাদন শুল্ক সেস নয়। ফলে তা বসিয়ে আদায় হওয়া অর্থ রাজ্যের সঙ্গে ভাগ হবে। করোনার সময়ে রাজ্যগুলির ক্ষতি মেটাতে যে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, তা সপ্তাহ দুয়েকে শোধ হবে বলেও জানান তিনি।
একাংশের অবশ্য দাবি, সেস যে সবপণ্যে বসত, তার সবগুলি উৎপাদন শুল্ক সংশোধনী বিলে আসবে না। ফলে ভাগ হলেও রাজ্যের পাওনা কমবে।
এ দিন পান মশলাতেও নতুন নিয়ম চালুর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। বলেছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তার ছোট প্যাকেটেও খুচরো দাম লিখতে হবে। এখন ১০গ্রাম বা তার কম ওজনের প্যাকেটে এ ক্ষেত্রে ছাড় পেত সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের বক্তব্য, এতে ক্রেতা উপকৃত হবেন। জিএসটি-র হিসাবেও সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল ও ক্ষতিকর পণ্যের সেস খাতে আদায় হওয়া টাকা দিয়ে রাজ্যগুলির ক্ষতি পূরণ করত কেন্দ্র। জিএসটি কাঠামো বদলের পরে প্রশ্ন উঠেছিল, সেস-এর কী হবে? নতুন ব্যবস্থা হিসেবে ক্ষতিকর পণ্যে জিএসটি বাড়তি শুল্ক বসাতে উৎপাদন শুল্ক আইনে বদল হয়েছে। বাকি ক্ষেত্রেরজন্য পেশ হয়েছে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে জাতীয় সুরক্ষা পর্যন্ত বিল’।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)