কানাডার উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর মার্কিন হুঁশিয়ারির জবাব! জনপ্রিয় ‘আমেরিকানো’ কফির নাম বদলে ‘কানাডিয়ানো’ করল মধ্য কানাডার শহর কুইবেকের একটি ক্যাফে। মন্ট্রিল-এলাকার ‘কোকো অ্যান্ড বিন’ নামের ওই ক্যাফের ‘আমেরিকানো’ কফি খুব জনপ্রিয়। প্রতি দিন ওই বিশেষ ধরনের কফি খেতে ক্যাফের সামনে ভিড় জমে দেখার মতো। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাগাতার শুল্ক-হুমকির প্রতিবাদেই এ বার জনপ্রিয় গরম পানীয়ের নাম বদলে দিল ক্যাফেটি। তবে শুধু ‘কোকো অ্যান্ড বিন’ নয়, কানাডার এ রকম অনেক ক্যাফেই ‘ঐতিহ্যের’ কথা বলে ওই কফিটির নাম বদলাতে উদ্যত হয়েছে। বদল এসেছে মেনুকার্ডেও। উল্লেখ্য, ‘আমেরিকানো’ কফির জন্ম ইটালিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার বাহিনীর মধ্যে ওই কফি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে পরে ম্যাপল সিরাপ এবং ক্রিমযুক্ত করে সেই কফিকে নতুন রূপ দিয়েছে কানাডা। যা সে দেশে বিপুল জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন:
কফির নামবদল প্রসঙ্গে ওই ক্যাফের ম্যানেজার শাওনা কর্ডনার বলেন, ‘‘আমরা কানাডার বাসিন্দা হিসাবে গর্বিত এবং আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী পানীয় আমেরিকানোর জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আর সে কারণেই আমরা কফিটির নাম পরিবর্তন করে কানাডিয়ানো করেছি।”
ক্ষমতায় আসার পরেই কানাডা-মেক্সিকোর উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। কানাডার উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথাও ঘোষণা করেছিলেন। তখন কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রু়ডোও। তিনি জানান, কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকার পণ্যের উপর। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়। আপাতত আমেরিকাও শুল্ক স্থগিত রেখেছে। কানাডা-আমেরিকার মধ্যে এ-হেন পরিস্থিতির মধ্যে কানাডার ক্যাফেগুলির কফির নাম ‘আমেরিকানো’ থেকে ‘কানাডিয়ানো’ করে দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।