প্রতীকী ছবি।
দেশের অর্থনীতির হাল যথেষ্ট মজবুত, এই দাবি করতে গিয়ে গাড়ি শিল্পের বৃদ্ধির পরিসংখ্যানকে অন্যতম হাতিয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংশ্লিষ্ট মহলেরও আশা ছিল, এ বার উৎসবের মরসুমে ব্যবসা আরও ভাল হবে। কিন্তু অক্টোবরে দেশের বাজারে গাড়ি বিক্রির হিসেব প্রশ্ন তুলে দিল, পরিস্থিতি আদৌ ততটা ভাল কি? অধিকাংশ যাত্রী গাড়ির (প্যাসেঞ্জার কার) বিক্রি বৃদ্ধির হারই ১০ শতাংশেরও নীচে নেমে এসেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা কমেওছে।
অনেকে অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত বছরে অক্টোবর ছিল সব ধরনের উৎসবের মাস। এ বার তা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল। ফলে গত বছরের অক্টোবরে এমনিতেই গাড়ি বিক্রি অনেক বেশি ছিল। ফলে সেই হিসেবের নিরিখে এ বার বিক্রি বৃদ্ধির হার কিছুটা কম হওয়াই স্বাভাবিক। শিল্পমহলের একাংশের অবশ্য পাল্টা দাবি, ধনতেরস ও দীপাবলিতে চাহিদা বাড়লেও তারপর তার নিম্নগতি ঘটে। ফলে বিক্রি
ধাক্কা খায়।
গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এ বার বৃহত্তম সংস্থা মারুতি-সুজুকির বিক্রি বেড়েছে ৯.৯%। তাদের একটি দামি গাড়ির বিক্রি বাড়লেও মূলত ছোট ও কম দামি গাড়ির বিক্রি ৪.২% কমেছে। প্রথম গাড়ি কিনছেন এমন ব্যক্তি ও মধ্যবিত্তরাই সাধারণত এ ধরনের গাড়ি কেনেন।
টয়োটা কির্লোস্কর মোটর এবং মহীন্দ্রার বিক্রি বেড়েছে। তবে টয়োটার বিক্রি ৬.৫% বাড়লেও মহীন্দ্রার বিক্রি বেড়েছে ১০০টিরও কম। টাটা মোটরসের বিক্রি বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ।
বৃদ্ধি তো দূরের কথা, বরং বিক্রি সামান্য কমেছে দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া-র। গত বছর ৫০,০১৭টি গাড়ি বিক্রি করলেও এ বার তে নেমে এসেছে ৪৯,৫৮৮-এ। প্রায় ৪৪% বিক্রি কমেছে মার্কিন বহুজাতিক ফোর্ড মোটরেরও।
দু’চাকার গাড়ির ব্যবসার ক্ষেত্রে টিভিএস-এর বিক্রি কমেছে প্রায় দু’হাজার। তবে রয়্যাল এনফিল্ড ও সুজুকি মোটরসাইকেলের বিক্রি বেড়েছে অনেকটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy