বিমার প্রিমিয়ামে জিএসটি ছাড়ের সুবিধা কী ভাবে গ্রাহকদের দেওয়া যায়, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কেন্দ্র। তারা ব্যক্তিগত জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামে কর পুরো তুলে দিয়েছে। কিন্তু বিমা সংস্থাগুলির দাবি, এর জেরে আগে মেটানো খরচের টাকা ফেরত পাওয়ার (আইটিসি) সুবিধাও আর পাবে না তারা। ফলে নতুন জিএসটি ব্যবস্থায় লোকসান হবে। তখন পুরো কর ওঠার সুবিধা প্রিমিয়ামে দেওয়া যাবে কি না, সন্দেহ। অন্য দিকে, জিএসটি ছাড়ের সুবিধা গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোর দায় রয়েছে সরকারের। তারা এ নিয়ে আর্জি জানাচ্ছে শিল্পকে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, বিমার চড়া প্রিমিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধীরাও এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে। এই পরিস্থিতিতে বিহার ভোটের আগে বিমার প্রিমিয়াম কমলে তার সুফল কুড়োবে শাসক দল। তাই জিএসটি ছাড় এবং আইটিসির মধ্যে কী ভাবে ভারসাম্য আনা যায়, তা নিয়ে বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবে পরোক্ষ কর পর্ষদ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, অবিলম্বে ওই আলোচনা শুরুর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদকে।
বিমায় জিএসটি ১৮% থেকে শূন্য হয়েছে। কিন্তু শূন্য জিএসটিতে সেগুলি উৎপাদন কিংবা বাজারে আনার প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, কমিশন ইত্যাদির জন্য জিএসটি খাতে যে খরচ করা হয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা আইটিসি হিসাবে ফেরত পায় না। ফলে তারা লোকসানের মুখে পড়বে। তাই জিএসটি কমানোর সুবিধা কী ভাবে এবং কতটা গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া যায়, তা নিয়েই বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবে সিবিআইসি।
ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের স্বাস্থ্য বিমার প্রাক্তন এক কর্তা বলেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলির গড়ে ২% ক্ষতি হবে, বেসরকারি সংস্থার ৫-৬ শতাংশ। কমিশন, তৃতীয়পক্ষ পরিচালক (টিপিএ), তথ্যপ্রযুক্তি-সহ পরিষেবা প্রদানকারী এবং সংস্থা পরিচালনার জন্য খরচে জিএসটি দিতে হয়। আইটিসি না থাকলে খরচ বেড়ে টান পড়বে মুনাফায়। কমে যাওয়া করের একাংশ ব্যবহার করতে হবে। বাড়াতে হবে প্রিমিয়াম।’’ তাঁর মতে, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গড়ে ৫-৬ শতাংশ বাড়াতে বাধ্য হবে। তবে সরকারি চাপে রাষ্ট্রায়ত্তগুলি হয়তো এখনই তা করতে পারবে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)