দূষণ ও জ্বালানি আমদানির খরচ কমাতে তেলের (পেট্রল-ডিজ়েল) বদলে বিকল্প জ্বালানির গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে বলছে কেন্দ্র। সেই দৌড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি এগিয়ে থাকলেও, প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) কিংবা তেল ও বিদ্যুৎ দুই জ্বালানিতেই চলার (হাইব্রিড) গাড়িও রয়েছে। পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক নাকি হাইব্রিড, কোন ধরনের গাড়ি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূষণহীনে উত্তরণের পথে প্রথম ধাপ ধরা হবে, তা নিয়ে মতের ফারাকও রয়েছে ভারতে। শিল্পমহল ও সরকারি সূত্রের খবর, এ বার কিছু হাইব্রিড গাড়ির কর কমিয়ে সেই পথে এগোনার বার্তা দিতে চাইছে কেন্দ্রের একাংশ।
দু’টি সরকারি সূত্রের খবর, বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি বিভাগ ভারী শিল্প মন্ত্রককে হাইব্রিড গাড়ির সেস বাস্তবোচিত করতে বলেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব রাজেশ কুমার সিংহ ভারী শিল্প সচিব কামরান রিজ়ভি-কে চিঠি লিখে বলেছেন, এক বিদেশি গাড়ি সংস্থার বক্তব্য বৈদ্যুতিক গাড়ির চেয়ে ভারতে হাইব্রিড গাড়ির কর বেশি। বস্তুত, পেট্রল-ডিজ়েল গাড়িতে সর্বোচ্চ কর ৫০%। হাইব্রিডে ৪৩%। কিন্তু বৈদ্যুতিকে মাত্র ৫%। তবে হাইব্রিডে কর বা সেস কমাতে হলে অর্থ মন্ত্রকের সায় দরকার হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, হাইব্রিড গাড়ির কর কমালে তা শিল্পের একাংশ, বিশেযত কয়েকটি ভারতীয় গাড়ি সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। কারণ টাটা মোটরস, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার মতো সংস্থাগুলি পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। যদিও সরকারেরই সূত্রের অভিমত, বারবার নীতি নিয়ে দোলাচল চললে তা বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্তরণের পথে যেমন বাধা তৈরি করবে, তেমনই লগ্নি পরিকল্পনাতেও ধাক্কা দেবে।