প্রতীকী ছবি।
চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি মাত্রা ছাড়িয়েছে বহু আগেই। চিন্তা বাড়াচ্ছে আয়করে ধাক্কা। এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে যা কমেছে ২২%। এই অবস্থায় মোদী সরকারকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়াল অক্টোবরে জিএসটি আদায়। ফেব্রুয়ারির পরে এই প্রথম। তার পরেই রবিবার কেন্দ্রের দাবি, কর আদায় শুধু ছন্দে ফিরেছে তা-ই নয়, তা বৃদ্ধির পথেও হাঁটতে শুরু করেছে। যদিও এতটা আশাবাদী হতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই ধারা ভবিষ্যতে বহাল থাকলে তবেই বলা যাবে আদায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট সংগৃহীত ১,০৫,১৫৫ কোটির মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি ১৯,১৯৩ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ২৫,৪১১ কোটি, সম্মিলিত জিএসটি ৫২,৫৪০ কোটি। আর সেস খাতে আদায় হয়েছে ৮০১১ কোটি। এই সেস থেকেই রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেয় কেন্দ্র।
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করে অর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডের মতে, জিএসটি আদায় কমেছিল ঠিকই। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে তা ছন্দে ফিরছে। তার উপরে সেপ্টেম্বরে ২০১৯-এর চেয়ে ৪% বেড়েছিল। অক্টোবরে তা বেড়েছে ১০%।
কেন্দ্রের সুরে ডেলয়েট ইন্ডিয়ার কর্তা এমএস মণি, বণিকসভা ফিকির প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা রেড্ডির মতো শিল্পের একাংশেরও দাবি, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ স্পষ্ট। তবে পিডব্লিউসি ইন্ডিয়া পার্টনার ও লিডার প্রতীক জৈনের মত, উৎসবের মরসুমের আগে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়া স্বাভাবিক। নভেম্বরেও ভাল বিক্রি হতে পারে। কিন্তু তার পরে এই ধারা বজায় থাকে কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy