E-Paper

শ্রম বিধি নয়, ফের বার্তা রাজ্যের

কেন্দ্রের সংশোধিত শ্রম বিধি বিরোধী রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। এ দিন ফের রাজ্যের তরফে বার্তা, তারা কোনও ভাবেই তা মানবে না।

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রায় পাঁচ বছর আগে সংসদে পাশ হয়েছিল শ্রম বিধি। এখনও তা দেশে কার্যকর না হওয়ার জন্য সোমবার পাঁচটি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দায়ী করল কেন্দ্র। লোকসভায় এ সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী শোভা করান্দলাজে জানান, সব রাজ্য এর খসড়া নিয়ম প্রকাশ করেনি। ফলে তা আটকে গিয়েছে। কেন্দ্রের সংশোধিত শ্রম বিধি বিরোধী রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। এ দিন ফের রাজ্যের তরফে বার্তা, তারা কোনও ভাবেই তা মানবে না। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেছেন, ‘‘বিধিগুলি চালু হলে শ্রমিকদের চাকরির ক্ষতি-সহ নানা ভাবে স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। তাই মানছি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে পুরনো শ্রম আইনই চালু থাকবে।’’

কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত শ্রম। তাই কেন্দ্র নতুন শ্রম আইন তৈরি করলেও, তা রাজ্যে কার্যকর হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সায় জরুরি। মলয় বলেন, “খতিয়ে দেখেছি, বিধির বহু শর্ত কর্মীদের স্বার্থ বিরোধী। যেমন, সংস্থায় ৩০০ জনের কম কর্মী থাকলে মালিকপক্ষ চাইলেই সেগুলি বন্ধ করে দিতে পারবেন। রাজ্যের সায় লাগবে না।’’ প্রশাসন সূত্রের দাবি, একেই চড়া বেকারত্ব দেশে। তার উপরে এত বেশি কর্মীর সংস্থায় এই নিয়ম চালু হলে বহু লোকের কাজ হারানোর আশঙ্কা আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য, পুরনো শ্রম আইনগুলিকে মিলিয়ে চারটি শ্রম বিধি এনেছে মোদী সরকার। ২০১৯-এ তারা সংসদে পাশ করায় মজুরি সংক্রান্ত বিধি। বাকি তিনটি পাশ হয় ২০২০-তে। তবে তার পর থেকেই শ্রমিক ইউনিয়নগুলি সেগুলির বিরোধিতায় সরব।

এ দিন এআইইউটিইউসির সর্বভারতীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “মূলত সংস্থার মালিকদের স্বার্থসিদ্ধি করতে শ্রম বিধি তৈরি করেছে বিজেপি সরকার। তাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঢালাও অধিকার দেওয়া হয়েছে সংস্থাকে। নতুন ট্রেড ইউনিয়ন নথিবদ্ধ (রেজিস্ট্রেশন) করার রাস্তাও কার্যত বন্ধ। কার্যত তোলা হয়েছে স্থায়ী চাকরির বিষয়টি। এমনকি কর্মীদের দিয়ে প্রয়োজনে দিনে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করানোর রাস্তা খোলা হয়েছে। সবটাই শ্রমিক শোষণ বাড়াবে।’’ ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, “অতিমারির সময় বিরোধীশূন্য সংসদে আলোচনা ছাড়া বিধিগুলি পাশ করানো হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধনে ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কথার দাবিও মানেনি কেন্দ্র। আশা করব রাজ্য এগুলি না মানার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।’’ ইনটাকের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অশোক সিংহের দাবি, “১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নই এর বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। আমরা চাই কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে শ্রম আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত হোক।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Central Government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy