E-Paper

আইন হয়েছিল দু’বছর আগে, এ বার তথ্য সুরক্ষার নিয়ম প্রকাশ করল কেন্দ্র

নিয়ম অনুসারে, ভুয়ো ফোন আসার ক্ষেত্রে কোন সূত্র থেকে সংশ্লিষ্ট নম্বরটি প্রতারকদের হাতে গিয়েছে, তা জানার আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক।

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৩

—প্রতীকী চিত্র।

অনলাইনে গ্রাহকের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দু’বছর আগেই আইন (ডিজিটাল পার্সনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ২০২৩) পাশ করেছিল কেন্দ্র। শুক্রবার তার নিয়মাবলি প্রকাশ করল তারা। জানাল, এই ‘ডিজিটাল পার্সনাল ডেটা প্রোটেকশন রুলস ২০২৫’ আগামী ১২-১৮ মাস ধরে পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। প্রথমেই সংস্থার নথিভুক্তি ও অনুমোদন, গ্রাহকের তথ্য ব্যবহারের জন্য তাঁদের সায় নেওয়ার মতো বিধি চালু হবে। কেন্দ্রের মতে, এর হাত ধরে সকলে নেটে নিজেদের তথ্য, ফোন ও ভিডিয়ো সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। যাতে তথ্যের অপব্যবহার না হয় এবং সেগুলির গোপনীয়তা রক্ষা করা যায়, তা নিশ্চিত করা যাবে। আটকানো যাবে ভুয়ো কল এবং বার্তা। এই নিয়মকে স্বাগত জানালেও, এর অধীনে তথ্য পরিচালনাকারী সংস্থাগুলির (ডেটা ফিডুশিয়ারি) তথ্য সংগ্রহের যোগ্যতা এবং তার পদ্ধতি কী হবে, তা স্পষ্ট নয় বলে দাবি শিল্প মহলের একাংশের।

নিয়ম অনুসারে, ভুয়ো ফোন আসার ক্ষেত্রে কোন সূত্র থেকে সংশ্লিষ্ট নম্বরটি প্রতারকদের হাতে গিয়েছে, তা জানার আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক। কোনও সংস্থা সায় না নিয়ে নম্বর ফাঁস করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। গ্রাহকের তথ্য ব্যবহার করতে সায় নেওয়ার জন্য স্পষ্ট নোটিস দেওয়া (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অভিভাবকের), তথ্য ফাঁস হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানানো, কাজ হয়ে গেলে তথ্য মুছে ফেলার নিয়মও আনা হয়েছে। চাইলে সায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন গ্রাহক। আইন ভাঙলে দিতে হবে জরিমানা। তা কার্যকর করতে তথ্য সুরক্ষা পর্ষদের কাঠামো প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। কী নিয়ম ভাঙা হচ্ছে বিচার করে জরিমানা স্থির হবে।

তবে নতুন আইনে যেমন গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে, তেমনই এ ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্বের কথাও বলা হয়েছে। যেমন, সরকারি পরিচয়পত্র বা নথির ক্ষেত্রে ভুল তথ্য না দেওয়া, ভুয়ো অভিযোগ জানানো থেকে বিরত থাকা, তথ্য বদল বা মোছার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এবং ঠিক তথ্য দেওয়া ইত্যাদি। কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে, তদন্ত চললে কিংবা আদালত নির্দেশ দিলে তথ্য সুরক্ষার সুবিধা মিলবে না। নিয়ম কার্যকর হবে না বিদেশে থাকা ব্যক্তি অন্য দেশের সংস্থা বা ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করলে, কারও সম্পদ ও দায়ের হিসাব করতে হলে অথবা ঋণ খেলাপের মতো ঘটনায়। কোনও প্রকল্প কার্যকর করতেও সংস্থাগুলিকে ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Safety new rules and regulations

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy