প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নয়াদিল্লি কোনও টাকা দেয় না বলে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ রাজ্যের। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত দাবি
করেছেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় ইতিমধ্যেই বাংলার ৫৪টি খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পে ১৯০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে আরও ৬০ কোটি দেওয়া হবে শীঘ্রই। ওই ৫৪টি প্রকল্পে মোট লগ্নির অঙ্ক ৯০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২৫০ কোটি টাকাই দেবেন তাঁরা।
এ দিন বণিকসভা আইসিসি-র এক সভায় সুব্রত জানান, কেন্দ্রের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত প্রকল্পে সব রকম সুবিধা দেওয়া হয় সংস্থাগুলিকে। তাঁর কথায়, “এই প্রকল্পের আওতায় কুলিং, চিলিং, প্রসেসিং-সহ এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা যাবে। চাইলে ছোট সংস্থাও সুবিধা পাবে।”
একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী ফর্মালাইজ়েশন অব মাইক্রো ফুডপ্রসেসিং এন্টারপ্রাইজ়’ প্রকল্পের অধীনেও সারা দেশে প্রায় ১.২৪ লক্ষ সংস্থাকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এর মধ্যেও একটা বড় অংশ বাংলার।
এর পাশাপাশি ওই মন্ত্রকের যুগ্মসচিব ডি প্রবীণ জানান, বাংলার ১৮০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ‘সিড ক্যাপিটাল’ বা মূলধন দিয়েও সহায়তা করেছে কেন্দ্র। তবে এ ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক স্পষ্ট করেননি তিনি। যদিও একই সঙ্গে দাবি করেছেন, কেন্দ্রের উৎপাদনে আর্থিক উৎসাহ প্রদান প্রকল্পের (পিএলআই) সুবিধা চেয়ে বাংলা থেকে প্রায় ১৮১ কোটি টাকার প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে কেন্দ্র এ রাজ্যের সংস্থাগুলিকে ১২০০ কোটি টাকা সরকারি ভর্তুকি দিতে প্রস্তুত বলে জানান সুব্রতও।
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আমাদের দেশে মোট উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের
মাত্র ১০ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। যা অত্যন্ত কম। এই পরিমাণ বাড়াতে সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)