খসড়া টেলিকম নীতি সামনে আনল কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগ (ডট)। সেখানে বলা হয়েছে, এটির লক্ষ্য বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি টানা। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ নতুন কাজ তৈরি। দাবি করা হয়েছে, প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়িত হলে পাঁচ বছরে ভারত ৫জি, ৬জি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ইন্টারনেট অব থিংস-এর মতো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্রও হয়ে উঠতে পারে।
মোটামুটি পাঁচ বছরের লক্ষ্য নিয়েই বৃহস্পতিবার খসড়া টেলিকম নীতি ২০২৫ প্রকাশ করেছে সরকার। আজ, শুক্রবার থেকে ২১ দিন সেটি ডট-এর ওয়েবসাইটে থাকবে। সেখানে যে কেউ মতামত জানাতে পারবেন। সেগুলি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত নীতি প্রণয়ন হবে। ডটের বার্তা, টেলিকম নীতি কার্যকর হলে ভারতে সংশ্লিষ্ট শিল্পের যে পরিকাঠামো তৈরি হবে, তা বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে তকমা পাবে। ফলে আন্তর্জাতিক টেলিকম ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে এ দেশ।
সরকারি মহলের বক্তব্য, যন্ত্রাংশ, দক্ষ শ্রমিক, সস্তা প্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে নীতিতে। সেখানে দেখানো হয়েছে, কত ভাল ভাবে স্পেকট্রাম ব্যবহার করা যায়। গ্রামীণ এলাকায় সংযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন, স্মার্ট-সিটি, আপৎকালীন যোগাযোগের মতো ক্ষেত্রে উন্নতির দিশাও দেওয়া হয়েছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ২০৩০-এর মধ্যে সারা বিশ্বের ৬জি প্রযুক্তির নিদেনপক্ষে ১০% কী করে দখলে আনা সম্ভব কিংবা টেলিকম পণ্য ও প্রযুক্তি রফতানির অঙ্ক কী ভাবে ওই সময়ের মধ্যে বাড়িয়ে বর্তমানের দ্বিগুণ করা যায়।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, আগামী পাঁচ বছর টেলিকম শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ৫জি এবং ৬জি প্রযুক্তি পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। সমান্তরালে থাকবে কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টানেট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। বিশেষজ্ঞদের বার্তা, চূড়ান্ত স্তরে আন্তর্জাতিক মানের নীতি তৈরিই লক্ষ্য হোক সরকারের। যাতে ভারত অনেকখানি এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)