ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি মাপার নতুন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মোদী সরকারের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সুব্রহ্মণ্যন। তাঁর গবেষণায় পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে বলে এ বার মন্তব্য করল কেন্দ্র।
নিজের গবেষণাপত্রে সুব্রহ্মণ্যন দাবি করেছিলেন, হিসেব কষার পদ্ধতি বদলের ফলেই বৃদ্ধির অঙ্ক এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এর পরেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, সুব্রহ্মণ্যনের প্রতিটি যুক্তি খণ্ডন করে জবাব দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী বুধবার বিস্তারিত যুক্তি পেশ করল করল প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক পরামর্শদাতা পরিষদ। যা তৈরি করেছেন বিবেক দেবরায়, রথীন রায়, সুরজিৎ ভল্লার মতো অর্থনীতিবিদ।
কেন্দ্রের বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জিডিপি হিসেবের পদ্ধতি ও ভিত্তিবর্ষ বদল ভারতে নতুন কিছু নয়। সেখানে অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন কার্যকলাপ, সর্বাধুনিক তথ্যকে মাপকাঠির মধ্যে নিয়ে আসা হয়। ভারতে ভিত্তিবর্ষ বদলে ২০১১-১২ করার উদ্দেশ্যও একই। ২০০৮ সাল থেকে পাঁচটি সাবকমিটি বিস্তারিত আলোচনা করে নতুন পদ্ধতি চূড়ান্ত করেছে। আগে যেখানে অর্থনীতিতে সমস্ত কর্মীর অবদান সমান ধারে হিসেব কষা হতো, সেখানে নতুন পদ্ধতিতে কাজের গুরুত্ব ও ধরনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
সুব্রহ্মণ্যনের অভিযোগ
• ২০১১-১২ থেকে ২০১৬-১৭ ভারতের বৃদ্ধির গড় হার হওয়া উচিত ৪.৫%। কখনওই ৭% নয়।
• কারখানার উৎপাদনের হিসেবের ভুল সব চেয়ে বেশি।
কেন্দ্রের বক্তব্য, একই সময়ে বহু দেশই পদ্ধতি বদল করেছে। সেই অনুযায়ী ওইসিডি গোষ্ঠীর কিছু দেশের বৃদ্ধির অঙ্ক বেড়েছে। কারও বা কমেছে। কিন্তু গড়ে তা বেড়েছে ০.৭%। অর্থাৎ বৃদ্ধির অঙ্ক বেড়ে যাওয়ার মধ্যেও অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।
কেন্দ্রের পাল্টা
• সুব্রহ্মণ্যনের হিসেবে কাঠামো ও পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে।
• ১৭টি মাপকাঠিই বেসরকারি সংস্থার থেকে নেওয়া।
• কর পরিসংখ্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচককে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা।
• বাদ পড়েছে পরিষেবা এবং কৃষির মতো ক্ষেত্র।
• অনেক দেশের মতো ভারতও জিডিপি হিসেবের পদ্ধতি একাধিক বার বদল করেছে। বর্তমান পদ্ধতি এগিয়ে থাকা দেশগুলির পদ্ধতির কাছাকাছি।
তবে এর পাশাপাশি কেন্দ্র স্বীকার করে নিয়েছে যে, জিডিপি হিসেবের পদ্ধতি কখনওই নিশ্ছিদ্র নয়। এর উন্নতির জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy