প্রতীকী ছবি।
আয় কমে রাজকোষ ঘাটতি আরও বৃদ্ধির আশঙ্কায় তেলের উপর কর না-কমানোর সম্ভাবনার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রক। ফলে দিন দশেক ধরে জ্বালানির দর এক থাকলেও, ক্ষীণ হচ্ছে তা এখনই কমার আশা। এই পরিস্থিতিতে কর ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে সাংসদদের প্রশ্নের জবাব কার্যত এড়িয়ে বরং রাজ্যের ভ্যাটের ফিরিস্তিই দিল মোদী সরকার। সোমবার তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানান, মধ্যপ্রদেশ পেট্রলে (৩১.৫৫ টাকা) ও রাজস্থান ডিজেলে (২১.৮২ টাকা) সর্বোচ্চ কর চাপায়। তিনি বলেন, ১৬ জুলাইয়ের দামের হিসেবে, পেট্রল এবং ডিজেলে শুল্ক ও সেস যথাক্রমে মোট ৩২.৪% ও ৩৫.৪%। তেলের দর বৃদ্ধির সুবিধা রাজ্যগুলিও পেয়েছে দাবি করে পুরী বলেন, সব চেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (গত বছর লিটারে পেট্রল ও ডিজেলে যথাক্রমে ৭.৫৯ ও ৫.৪৮ টাকা)।
তেলে উৎপাদন শুল্ক ও ভ্যাট কমানো বা তাতে ভর্তুকি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর হ্রাসের প্রেক্ষিতে দেশে কেন্দ্রের পদক্ষেপের ভাবনা, উৎপাদন শুল্কের হার কত, এমন বহু প্রশ্ন করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরত জাহান-সহ আরও ক’জন। উত্তরে কেন্দ্রের আবারও দাবি, তেলের কর বাবদ আদায় খরচ হয় বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে। আর্থিক অবস্থা বিচার করেই শুল্ক স্থির হয়।
কেন্দ্রের দাবি, অশোধিত তেলের দর, টাকা-ডলারের বিনিময়মূল্য ইত্যাদির ভিত্তিতে দাম বদলায় তেল সংস্থাগুলি। গত বছর এপ্রিলে অশোধিত তেল ব্যারেলে ১৯ ডলার ছিল। এ বছর জুনে ৭১.৯৮ ডলার। যদিও অনেকের প্রশ্ন, সেটি ১৯ ডলারে নামলেও সেই হারে দাম কমেনি কেন? পূর্বতন সরকারও বা কী ভাবে শুল্ক কম রেখে উন্নয়নের অর্থ সংগ্রহ করত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy